Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

সুপ্রিম কোর্টে তুমুল তর্ক-বিতর্ক, জানুন সর্বশেষ আপডেট

কোর্টে তুমুল তর্ক-বিতর্ক

৭ আগস্ট, ২০২৫: সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (Dearness Allowance) সংক্রান্ত জটিলতা যেন শেষই হচ্ছে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার, দুপুর ২টায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) নির্ধারিত হয়েছে। এই খবর লক্ষাধিক সরকারি কর্মচারীর মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে।

গত কয়েকদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে যা যা ঘটেছে, তার সারসংক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো:

১. ডিএ কোনো অনুগ্রহ নয়, এটি কর্মীদের সাংবিধানিক অধিকার:
কর্মচারী সংগঠনগুলির আইনজীবী গোপাল সুব্রামানিয়াম এবং গোপাল চন্দ চট্টোপাধ্যায় আদালতে জোরালোভাবে বলেন যে, ডিএ কোনো অনুগ্রহ বা দয়া নয়, বরং এটি সরকারি কর্মীদের একটি সাংবিধানিক অধিকার। রাজ্য সরকার বারবার এটিকে 'আর্থিক সামর্থ্যের' অজুহাতে ঝুলিয়ে রাখলেও, কর্মীরা এটি আইনগতভাবে প্রাপ্য।

২. বৈষম্যের অভিযোগ ও আদালতের প্রশ্ন:
আদালতের বিচারপতিরা রাজ্য সরকারের কাছে সরাসরি জানতে চান, "পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা যারা দিল্লি বা চেন্নাইয়ে কর্মরত, তাঁরা যদি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান, তাহলে রাজ্যের অন্যান্য কর্মীদের কেন সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে?" আইনজীবীরা এটিকে সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ (সমতার অধিকার) এর লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেন। তাদের যুক্তি, একই নিয়মে নিযুক্ত কর্মীদের মধ্যে এই ধরনের বৈষম্য অসাংবিধানিক।

৩. 'ডিএ হলো Res Judicata' ও সুদের দাবি:
ডিএ-কে একটি 'Res Judicata' (আদালত দ্বারা মীমাংসিত বিষয়) হিসেবে উল্লেখ করে আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন যে, এই মামলার আইনি ভিত্তি বহু আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি এই দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক পেনশনভোগীর মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন এবং বকেয়া ডিএ-র ওপর সুদ (interest) দাবি করেছেন। তার মতে, রাজ্য সরকারের ইচ্ছাকৃত দেরির কারণে এই আর্থিক ক্ষতির জন্য সুদ দেওয়া উচিত।

৪. রাজ্য সরকারের পাল্টা যুক্তি:
রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা বারবার যুক্তি দিয়েছেন যে, ডিএ কোনো মৌলিক বা আইনগত অধিকার নয় এবং রাজ্যের আর্থিক সামর্থ্য বিচার করেই ডিএ দেওয়া হয়। এর জবাবে বিচারপতি মিত্র প্রশ্ন তোলেন, "যদি ভোক্তা মূল্য সূচক (Consumer Price Index) না মানা হয়, তাহলে ডিএ নির্ধারণের ভিত্তি কী?"

৫. পরবর্তী শুনানির গুরুত্ব:
আদালত এর আগে বকেয়া ডিএ-র ২৬ শতাংশ ৬ সপ্তাহের মধ্যে মেটানোর নির্দেশ দিলেও, রাজ্য তা কার্যকর করতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে আগামী মঙ্গলবারের শুনানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই শুনানিতে মামলার গতিপথ কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে নজর থাকবে সমগ্র রাজ্যের।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code