Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীই বেসামাল হয়ে পড়ে - এটা বড় সমস্যা - মিঠুন

নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীই বেসামাল হয়ে পড়ে - এটা বড় সমস্যা - মিঠুন

Mithun


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-

ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি ঠিকভাবে কাজ করে তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠ এবং ভালভাবে হতে পারে, কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীই অনেক সময় বেসামাল হয়ে পড়ে। এটা একটা বড় সিভিক সমস্যা। বর্ধমানের রবীন্দ্রভবনে বিজেপির বর্ধমান জেলা কমিটির উদ্যোগে কার্যকর্তা প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নিতে এসে একথা বলেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। 



এদিন তিনি দুর্গাপুরের একটি বৈঠক সেরে বর্ধমানে আসেন। বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভার বুথ সভাপতি, শক্তিকেন্দ্রের প্রমুখ, মণ্ডল সভাপতি প্রমুখদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেন। ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রায়শই যে অভিযোগ ওঠে সে সম্পর্কে বলতে গিয়েই মিঠুন এই মন্তব্য করেন। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। 


অন্যদিকে, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে ভাল ফলাফল হলেও ভোট ধরে রাখতে না পারার ব্যর্থতা সম্পর্কে এদিন মিঠুন স্বীকার করে জানান, সেই সময় দলের অভ্যন্তরে এত গোলমাল ছিল যে ওই ঘটনা ঘটেছে। আর সেটা ঠিক করতেই তিনি এসেছেন প্রশিক্ষণ শিবিরে। খোদ দলের কর্মীদের অভিযোগ, দলের কর্মীরা মার খেলে নেতারা এগিয়ে আসে না। এব্যাপারে মিঠুন বলেন, তাঁরা আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু রাজ্য সরকার আসতে দেয়নি। 


অপরদিকে, বাঁকুড়ার সোনামুখীতে তৃণমূল কর্মী খুনে তৃণমূল অভিযুক্ত হওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা এই রাজ্যের নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। এর জবাব তো এখন দেওয়া যাবে না, পরে দেবো। এসআইআর লাগু হলে বহু ভোটার বাদ যাবে। অথচ সেই ভোটার দ্বারাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তাই অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। 


এ প্রসঙ্গে মিঠুন জানান, এসআইআর হবে মানে হবেই। কিসের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেছেন ১ লক্ষ মানুষকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাবেন। যাক, নির্বাচন কমিশন সেটা বুঝবে। নির্বাচন আসলেই আধিকারিকদের বদলী করা সম্পর্কে মিঠুন এদিন জানান, নির্বাচন কমিশন মনে করে ওই আধিকারিকরা স্বপদে বহাল থাকলে সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন হবে না, তাই তাদের সরিয়ে দেয়। 


এদিকে, এদিন দুপুর ৩টেয় এই প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মিঠুন আসেন নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর। যা নিয়ে এদিন রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি কর্মীরা। একইসঙ্গে একের পর এক দলবদলু হিসাবে চিহ্নিত মিঠুন চক্রবর্তীর কাছ থেকে পুরনো কর্মী-নেতৃত্বরা আদপেই কিছু শিখলেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কর্মীরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code