লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় ঘোষনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা মুখ্যমন্ত্রীর। আর সেই সভা থেকেই একাধিক ঘোষনা দিলেন তিনি। সুখবর শোনালেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়া মহিলাদের। তুলে ধরলেন সাইকেল পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের খতিয়ান।
বর্ধমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৫ হাজার ছাত্রছাত্রীকে সাইকেল দেওয়া হয়েছে। ৭২ হাজারের বেশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন। ২৫০০-এর বেশি মানুষকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে সাহায্য। '১২.৫ লক্ষ পড়ুয়াকে সাইকেল দেওয়া হবে। ৭২ হাজারের বেশি মহিলা পাবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় ৪৯ টি বাসস্ট্যান্ড তৈরি হয়েছে। কৃষি সেতু আছে, শিল্প সেতুও তৈরি হচ্ছে ৩৪৭ কোটি ১১ লক্ষ টাকায়। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট আদিবাসী ছাত্রী হোস্টেল তৈরি হচ্ছে', বর্ধমানে বললেন মমতা।
এদিনের প্রশাসনিক সভা থেকে বের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ রাস্তা, জলস্বপ্নের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। সর্বশিক্ষা অভিযান বন্ধ দু'বছর। বাংলার বাড়ি বন্ধ। আমরা তাও ৪৭ লক্ষ মাটির বাড়ির পুনর্নির্মাণ করেছি।
তিনি আরো বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প গুজরাতিদের কোমরে শিকল বেঁধে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলার মেধাকে তাড়াতে পারে না। কারণ বাঙালি ছাড়া হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড,কলম্বিয়া, সান ফ্রান্সিসকো চলে না। নাসা থেকে ভাষা, ওরাই (বাঙালি) আছে।
এদিন এনআরসি প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভোট এলেই NRC, ভোটার তালিকায় নাম কাটতে হবে। নির্বাচন কমিশন দয়া করে বিজেপি-র ললিপপ হবেন না। তাহেল দেশের মানুষ ক্ষমা করবেন না। বলছে বাংলায় নাকি বাংলাদেশীরা থাকেন। দেশভাগের পর আপনারা কী করেছিলেন? ভারত ভাগ করতে গিয়ে বাংলাকে ভাগ করেছিলেন, পঞ্জাবকে ভাগ করেছিলেন। আন্দামানের সেলুলার জেলে চলে যান। ওখানে দেখবেন ৯০ শতাংশ উপর বাঙালি ছিলেন। ১০ শতাংশ ছিল পাঞ্জাবি। বাংলাকে শায়েস্তা করতে পারবে না জেনেই বাংলাকে ভাগ করে। পাঞ্জাবকেও ভাগ করেছিল। কই সেকথা তো বলো না। বাংলাদেশ তো আমরা তৈরি করিনি। তোমরা করেছো! তোমাদের প্রপিতামহরা করেছে। এখন বাংলাকে দেখে লুচির মতো ফোলে।
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊