বর্ষার কোপে বাজার, নাভিশ্বাস জলপাইগুড়ির ক্রেতাদের!
জলপাইগুড়ি: দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার দাপট থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরবঙ্গও পিছিয়ে নেই। বিগত কয়েকদিন ধরে জলপাইগুড়ি শহরজুড়ে চলছে অবিরাম বৃষ্টির ধারা। আর এই আবহাওয়ায় নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। কারণ, ভিজছে শুধু শহর নয়, পকেটও। বৃষ্টির অজুহাতে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় ক্রেতারা এখন দিশেহারা।
শহরের দিনবাজার, স্টেশন বাজার, বউবাজারসহ একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেল, সবজির দামে যেন আগুন লেগেছে। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, "যা আয়, তাতে তো সপ্তাহের বাজার করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এক সপ্তাহ আগে যে সবজি কিনেছি, আজ তার দাম অনেকটাই বেশি।"
বিশেষ করে কয়েকটি সবজির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। পটলের দাম প্রতি কেজি ৬০ টাকায় পৌঁছেছে। ঝিঙ্গে, বরবটির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দামও ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু কিছুটা স্বস্তি দিলেও (২০ টাকা কেজি), বাকি সবজির দাম মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
শুধু সবজি নয়, মুদিখানার জিনিসপত্রের দামও ব্যাপক বেড়েছে। সরষের তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে এখন কোথাও ১৮০ টাকা, আবার কোথাও ২০০ টাকায় বিকোচ্ছে। আদা, রসুনের দামও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। প্রতি কেজি রসুনের দাম এখন ২০০ টাকা ছুঁয়েছে।
মাংসের বাজারেও স্বস্তি নেই। একজন মাংস বিক্রেতা জানালেন, মুরগির মাংসের দাম কোথাও ১৪০ টাকা, আবার কোথাও ১৫০ টাকা কেজি দরে চলছে। এভাবে সব জিনিসের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কঠিন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে। একটানা বৃষ্টি এবং বাজারে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি—এই দুইয়ের চাপে জলপাইগুড়ির ক্রেতারা এখন কার্যত হাঁসফাঁস করছেন। এই পরিস্থিতি থেকে কবে মুক্তি মিলবে, তা নিয়ে সকলের মনেই গভীর উদ্বেগ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊