Let’s Talk Sex | Is It Normal to Think About Someone Else During Sex? What Science Says
মানব সম্পর্কের অন্তরঙ্গ পরিসরে মনের নিজস্ব ছন্দে চলার প্রবণতা প্রায়শই আমাদের বিস্মিত করে। যৌনতার মুহূর্তে হঠাৎ করে মন অন্য কারও দিকে চলে যাওয়া বা অপ্রত্যাশিত চিন্তা মাথায় আসা কি অস্বাভাবিক? এই প্রশ্ন অনেকের মনে আসে, বিশেষ করে যখন সেই চিন্তাগুলো বর্তমান সঙ্গীর বাইরের কারও সঙ্গে সম্পর্কিত হয়। বাস্তবতা হলো, মানব মস্তিষ্ক অত্যন্ত জটিল ও গতিশীল — এটি একসঙ্গে অসংখ্য অনুভূতি, স্মৃতি ও কল্পনা প্রক্রিয়াকরণ করে। ফলে যৌনতার মতো গভীর অভিজ্ঞতার সময়ও মন কখনও কখনও অন্যদিকে চলে যেতে পারে।
এই মানসিক বিচ্যুতির পেছনে রয়েছে আমাদের বিবর্তনগত ইতিহাস। অতীতে, পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকা ছিল জীবনের জন্য অপরিহার্য। সেই প্রবণতা আজও আমাদের মস্তিষ্কে রয়ে গেছে, যার ফলে এমনকি যৌনতার সময়ও মন সম্পূর্ণভাবে বর্তমান অভিজ্ঞতায় নিমগ্ন থাকতে পারে না। মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যপ্রণালীই মাঝে মাঝে আমাদের চিন্তাকে অপ্রাসঙ্গিক দিকে নিয়ে যায়।
যৌনতার সময় আমাদের মস্তিষ্ক একাধিক স্তরে সক্রিয় থাকে — শারীরিক অনুভূতি, আবেগ, স্মৃতি, কল্পনা এবং কখনও কখনও চিন্তা-ভিত্তিক বিভ্রান্তি। এই চিন্তাগুলোর উৎস হতে পারে নতুনত্বের আকর্ষণ, পুরানো স্মৃতির উদয়, মানসিক চাপ, বা নিছক যৌন কল্পনা। অনেক সময়, পুরানো কোনো অভিজ্ঞতা, পরিচিত গন্ধ বা স্পর্শ হঠাৎ করে স্মৃতির দরজা খুলে দেয়। আবার, জীবনের নানা দুশ্চিন্তা — কাজ, সম্পর্ক, ভবিষ্যৎ — যৌন মুহূর্তেও মনকে বিচ্যুত করতে পারে। যৌন কল্পনা, যা অনেক সময় সম্পূর্ণ কাল্পনিক চরিত্র বা পরিস্থিতিকে ঘিরে গড়ে ওঠে, মস্তিষ্কের একটি নিরাপদ মানসিক ক্ষেত্র যেখানে মানুষ নিজেকে মুক্তভাবে প্রকাশ করতে পারে।
এই চিন্তাগুলো সবসময় সঙ্গীর প্রতি অসন্তুষ্টির প্রতিফলন নয়। বরং, এগুলো মস্তিষ্কের স্বাভাবিক উত্তেজনা ও কল্পনার অংশ। যৌন উত্তেজনার সময় মস্তিষ্কের limbic system, prefrontal cortex, hypothalamus এবং dopamine pathway সক্রিয় হয়ে ওঠে — যা আবেগ, কল্পনা, হরমোন এবং আনন্দের অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষ অন্তত একবার যৌনতার সময় অন্য কারও কথা কল্পনা করেছেন, যা মানুষের বৈচিত্র্য-প্রবণতার একটি স্বাভাবিক প্রকাশ।
মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এই বিষয়টি স্বাভাবিক বলে বিবেচিত। Cognitive Psychology অনুযায়ী, মস্তিষ্ক সবসময় স্বতঃস্ফূর্ত চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। Freud-এর Psychoanalytic Theory-তে যৌন কল্পনাকে মানব ইচ্ছার স্বাভাবিক প্রকাশ হিসেবে দেখা হয়। Relationship Psychology বলে, অনেক সুস্থ সম্পর্কেও এমন মানসিক বিচ্যুতি ঘটে, যা সম্পর্কের গভীরতায় প্রভাব ফেলে না। তবে Sex Therapy-এর মতে, যদি কল্পনা বাস্তব অভিজ্ঞতাকে ছাপিয়ে যায়, তাহলে তা নিয়ে ভাবা দরকার।
এই চিন্তাগুলো সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া উচিত কি না, তা নির্ভর করে সম্পর্কের ধরন ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর। যদি সম্পর্ক খোলামেলা হয়, তাহলে যৌন কল্পনা নিয়ে আলোচনা ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে পারে। আবার, যদি চিন্তাটি ক্ষণিকের হয় এবং তা প্রকাশে সঙ্গীর কষ্ট হতে পারে, তাহলে তা নিজের মধ্যেই রাখা নিরাপদ। যদি শেয়ার করতে চান, তাহলে তা “আমি মাঝে মাঝে কল্পনা করি…” এর মতো সংবেদনশীল ভাষায় বলা উচিত, যাতে তা অপরাধবোধ নয়, বরং পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তি গড়ে তোলে।
যদি এই চিন্তাগুলো বিভ্রান্তিকর বা অপরাধবোধ তৈরি করে, তাহলে কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। যৌনতার সময় mindfulness অনুশীলন — যেমন সঙ্গীর স্পর্শ, শ্বাস-প্রশ্বাস, গন্ধে মনোযোগ দেওয়া — মনকে বর্তমান মুহূর্তে ফিরিয়ে আনে। যৌনতার বাইরেও সম্পর্কের আবেগগত গভীরতা বাড়ানো, যৌথ কল্পনার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া, এবং যৌনতার আগে চাপ কমানোর জন্য হালকা হাঁটা বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম — এসবই মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
শেষ কথা হলো, যৌনতার সময় মন অন্যদিকে চলে যাওয়া মানেই সম্পর্কের সমস্যা নয়। এটি মানব মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। গুরুত্বপূর্ণ হলো — এই মানসিক গতিবিধি যেন আবেগগত দূরত্ব তৈরি না করে। সংবেদনশীলতা, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং খোলামেলা যোগাযোগই সুস্থ যৌন ও মানসিক সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊