শুল্কযুদ্ধের মাঝেই সম্প্রীতির বার্তা: ‘ভারত-আমেরিকা একসঙ্গে গড়বে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’, বললেন মার্কো রুবিও
ভারত-মার্কিন সম্পর্ক যখন শুল্ক আরোপ, রুশ তেল আমদানি এবং কূটনৈতিক চাপের আবহে ক্রমশ উত্তপ্ত, ঠিক তখনই ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও। শুক্রবার তিনি বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত এবং বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্র আমেরিকার সম্পর্ক ঐতিহাসিক, গুরুত্বপূর্ণ এবং সুদূরপ্রসারী।” তাঁর মতে, দুই দেশ একসঙ্গে আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে এবং গড়ে তুলবে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
রুবিওর এই বার্তা এসেছে এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন। রুশ তেল আমদানি অব্যাহত রাখার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ট্রাম্পের। ভারত সরকার এই সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায়, অযৌক্তিক ও অবাস্তব’ বলে কড়া ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে।
রুবিও তাঁর বার্তায় আরও বলেন, “আমেরিকা ও ভারত শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং সুরক্ষিত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্বপ্ন দেখে। এই অংশীদারিত্ব প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, মহাকাশ এবং উদীয়মান শিল্পক্ষেত্রে বিস্তৃত”।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রুবিওর মুখে সম্প্রীতির বার্তা আসলে আমেরিকার কূটনৈতিক ব্যালান্সিং-এর অংশ। কারণ, আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকের আগে ভারতকে চাপ দিতে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। ট্রাম্প দাবি করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্টকে শান্তি বৈঠকে রাজি করাতে ভারতকে ‘শুল্কবাণ’ দিয়ে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে রুবিওর বার্তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সৌহার্দ্য বজায় রাখার প্রয়াস হলেও, বাস্তব রাজনীতিতে তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত তার কৌশলগত অবস্থান থেকে সরে আসবে না এবং আমেরিকার চাপের মুখেও রুশ তেল কেনা অব্যাহত রাখবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊