ট্রাম্পের হুমকির পরেই রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করলো ভারত !
নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণায়। Truth Social-এ তিনি ঘোষণা করেন যে ভারত থেকে আমদানি হওয়া সমস্ত পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, এবং রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র কেনার জন্য অতিরিক্ত ‘penalty’ দিতে হবে।
ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপকারী দেশগুলোর একটি এবং রাশিয়ার সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা। তিনি বলেন, “ভারত আমাদের বন্ধু, কিন্তু ওদের শুল্ক হার অত্যন্ত বেশি…”। তিনি আরও যোগ করেন, “ওরা সবসময় রাশিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জামের বড় অংশ কিনেছে, এবং চীনসহ রাশিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি ক্রেতা।”
এই ঘোষণার পরেই বিভিন্ন সূত্রে খবর ছড়ায় যে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল পরিশোধন সংস্থাগুলি (IOCL, BPCL, HPCL, MRPL) রাশিয়া থেকে spot market-এ তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এই বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি এবং শক্তিসম্পদ আমদানি জাতীয় স্বার্থ ও বাজার পরিস্থিতি দেখে করা হয়।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি শুনেছি ভারত নাকি আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। জানি না এটা সত্যি কিনা, তবে এটা ভারতের পক্ষে ভালো পদক্ষেপ।” তিনি আরও বলেন, “ভারত আর রাশিয়া চাইলে নিজেদের মৃত অর্থনীতি একসঙ্গে ডুবিয়ে দিতে পারে, আমার তাতে কিছু যায় আসে না।”
ভারতের পক্ষ থেকে Randhir Jaiswal, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র, জানিয়েছেন, “ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি স্থিতিশীল ও সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অংশীদারিত্ব রয়েছে… আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তৃতীয় কোনও দেশের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করা উচিত নয়।”
বিশ্লেষকদের মতে, রুশ তেলের উপর ছাড় কমে যাওয়ার পাশাপাশি আমেরিকার চাপের কারণে ভারত এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে Reliance Industries ও Nayara Energy-র মতো সংস্থাগুলি যাদের রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে, তারা হয়তো আমদানি চালিয়ে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে—ভারত কি সত্যিই ট্রাম্পের চোখরাঙানিতে রুশ তেল আমদানি বন্ধ করে দেবে? যদিও সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি, তবে আন্তর্জাতিক চাপ ও বাজার পরিস্থিতি মিলিয়ে আগামী দিনে বড় সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊