বিহারে ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ, উত্তাল সংসদে বিরোধী দলগুলি
শুক্রবার বিহারের সংশোধিত ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। দুপুর তিনটে নাগাদ কমিশনের ওয়েবসাইটে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সকাল ১১টার মধ্যেই রাজ্যের ৩৮টি জেলার জেলাশাসকদের মাধ্যমে তা তুলে দেওয়া হয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলের হাতে। এই খসড়া তালিকায় রাজ্যের ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৯০ হাজার ৮১৭টি বুথের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
তবে তালিকা প্রকাশের আগেই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, এই সংশোধিত খসড়া তালিকায় বহু বৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই লোকসভায় এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আরএসপি, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি (শরদ পাওয়ার), ডিএমকে, শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী), আরজেডি-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, এই ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’-এর নামে নির্বাচন কমিশন কার্যত এনআরসি চালু করার চেষ্টা করছে। তাঁদের আশঙ্কা, এই পদ্ধতিতে বহু প্রান্তিক ও সংখ্যালঘু মানুষের নাম অনিচ্ছাকৃতভাবে বাদ পড়বে। গোটা বিষয়টিকে তাঁরা ‘নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেছেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই তালিকা এখনও চূড়ান্ত নয়। এটি কেবল খসড়া, যা ভোটার তালিকা সংশোধনের একটি নিয়মিত ও নির্ধারিত প্রক্রিয়ার অংশ। কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, যদি কোনও বৈধ ভোটারের নাম এই তালিকা থেকে বাদ পড়ে, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন জানিয়ে তা সংশোধনের সুযোগ পাবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র পেশ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে কমিশনের প্রশ্ন, রাজনৈতিক দলগুলি কেন এই তথ্য জনসাধারণকে জানাচ্ছে না? কেন বুথ স্তরের এজেন্টদের দিয়ে দাবি ও আপত্তির প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করছে না দলগুলি?
নির্বাচন কমিশনের মতে, ভোটার তালিকাকে স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য করে তোলাই এই প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য। শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিহারের পর ধাপে ধাপে অন্যান্য রাজ্যেও এই সংশোধনের প্রক্রিয়া চালু হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊