e-Passport : কীভাবে আবেদন করবেন, কী সুবিধা পাবেন জানুন বিস্তারিত
ভারত সরকার ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ই-পাসপোর্ট (e-Passport) চালু করেছে এবং ২০২৫ সালে তা ধাপে ধাপে দেশজুড়ে বিস্তৃত হচ্ছে। এই নতুন প্রজন্মের পাসপোর্টে রয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণের জন্য RFID চিপ, যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণকে আরও নিরাপদ ও দ্রুততর করবে।
ই-পাসপোর্ট (e-Passport) কী?
- এটি একটি চিপ-ভিত্তিক পাসপোর্ট, যেখানে RFID চিপ ও অ্যান্টেনা সংযুক্ত থাকে।
- চিপে সংরক্ষিত থাকে ব্যক্তিগত তথ্য, আঙুলের ছাপ, ডিজিটাল ছবি, এবং আইরিস স্ক্যান।
- পাসপোর্টের সামনের কভারে একটি সোনালি রঙের ছোট প্রতীক থাকে, যা সাধারণ পাসপোর্ট থেকে আলাদা করে।
মূল বৈশিষ্ট্য
- RFID চিপে এনক্রিপ্টেড বায়োমেট্রিক ও ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত
- ICAO (International Civil Aviation Organization) গাইডলাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ
- জালিয়াতি ও নকল পাসপোর্ট প্রতিরোধে কার্যকর
- ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে দ্রুত যাচাই সম্ভব
কীভাবে আবেদন করবেন?
১. Passport Seva Portal এ যান
২. নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন বা লগইন করুন
৩. “Apply for Fresh Passport/Re-issue” অপশন বেছে নিন
৪. ই-পাসপোর্ট ফর্ম পূরণ করুন
৫. নিকটবর্তী Passport Seva Kendra (PSK) বা Post Office PSK (POPSK) নির্বাচন করুন
৬. অনলাইনে ফি প্রদান করুন
৭. অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন
৮. নির্ধারিত দিনে PSK/POPSK-তে গিয়ে বায়োমেট্রিক ও ডকুমেন্ট যাচাই সম্পন্ন করুন
বর্তমানে কোথায় পাওয়া যাচ্ছে?
২০২৫ সালের মধ্যে ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে ১৩টি শহরে:
চেন্নাই, নাগপুর, হায়দরাবাদ, জয়পুর, ভুবনেশ্বর, গোয়া, শিমলা, রায়পুর, আমৃতসর, জাম্মু, রাঁচি, সুরাট, এবং আরও কিছু কেন্দ্রে।
🟩 FAQ (প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন: ই-পাসপোর্ট কি বাধ্যতামূলক?
উত্তর: না, বিদ্যমান পাসপোর্ট বৈধ থাকবে। ই-পাসপোর্ট একটি উন্নত সংস্করণ।
প্রশ্ন: ই-পাসপোর্ট ডাউনলোড করা যাবে?
উত্তর: না, এটি একটি ফিজিক্যাল ডকুমেন্ট। তবে আবেদন ও স্ট্যাটাস অনলাইনে দেখা যাবে।
প্রশ্ন: ই-পাসপোর্টে কী তথ্য থাকে?
উত্তর: নাম, জন্মতারিখ, পাসপোর্ট নম্বর, আঙুলের ছাপ, ছবি, আইরিস স্ক্যান, ইস্যু ও মেয়াদ শেষের তারিখ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊