জলপাইগুড়িতে ছ’কোটি বছরের পুরনো ডাইনোসরের ডিম! সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবে জীবাশ্মের বিস্ময়
জলপাইগুড়ির নয়াবস্তির নাটা হাউসের পাশে অবস্থিত জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাব আজ উত্তরবঙ্গের বিজ্ঞানপ্রেমীদের কাছে এক বিস্ময় কেন্দ্র। কারণ, এখানেই প্রদর্শিত হচ্ছে ছ’কোটি বছরের পুরনো ডাইনোসরের ডিম, হাড়, জীবাশ্ম ও খনিজ—যা সাধারণ মানুষের চোখে বিস্ময়, আর বিজ্ঞানীদের কাছে এক ঐতিহাসিক সম্পদ।
কোথা থেকে এল এই দুর্লভ সংগ্রহ?
ক্লাবের সম্পাদক ড. রাজা রাউত জানিয়েছেন, দেশের নামী ভূবিজ্ঞানীদের সহযোগিতা ছাড়া এই সংগ্রহ সম্ভব হত না। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ভূবিজ্ঞানী প্রদীপ সেনগুপ্ত, যিনি বছরের পর বছর ধরে এই জীবাশ্ম ও খনিজ সংগ্রহ করেছেন। তাঁর প্রচেষ্টাতেই আজ জলপাইগুড়ির এই ক্লাবে এমন দুর্লভ সামগ্রী সাধারণ মানুষের সামনে এসেছে।
মিউজিয়ামের অন্যতম আকর্ষণ: ডাইনোসরের ডিম
এই ডিমের বয়স আনুমানিক ৬.৫ কোটি বছর, যা ক্রিটেশিয়াস যুগের শেষের দিকের। বিজ্ঞানীদের মতে, এই সময়েই এক ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হয়ে যায় ডাইনোসর। তবে গবেষকদের বিশ্বাস, ডাইনোসরের একটি শাখা থেকেই পরবর্তীকালে পাখির উদ্ভব হয়েছে।
ছাত্রছাত্রীদের জন্য সচেতনতামূলক প্রদর্শনী
এই ক্লাব শুধু সংগ্রহশালা নয়, এটি একটি শিক্ষামূলক কেন্দ্র। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা এখানে এসে জীবাশ্ম, খনিজ ও প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছেন। এই উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে বিজ্ঞানচর্চার আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করছে।
ডাইনোসর: ইতিহাসের ভয়াবহ সরীসৃপ
ডাইনোসর ছিল এক বৃহদাকার মেরুদণ্ডী প্রাণী, যারা প্রায় ১৬ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে। “ডাইনোসর” শব্দের আক্ষরিক অর্থ “ভয়ঙ্কর গিরগিটি”, যদিও তারা সরীসৃপ শ্রেণীর অন্তর্গত। Fossil গবেষণায় জানা গেছে, ডাইনোসরের ডিমে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কোয়ার্টজ, এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের উপস্থিতি রয়েছে, যা তাদের জীবাশ্মীকরণের প্রক্রিয়া বোঝাতে সাহায্য করে।
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊