প্রয়াত কোচবিহারের অবিসংবাদী বাম নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশ চন্দ্র ডাকুয়া
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি পশ্চিমবঙ্গের জনজীবনে গভীর ছাপ রেখে গেছেন। ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণ করা ডাকুয়া ছাত্রজীবন থেকেই বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫০ সালে কোচবিহার ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর তাঁর নেতৃত্বে ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত হতে থাকে। ১৯৫৩ সালে আন্দোলনের কারণে ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হলেও তিনি সংগ্রামের পথ থেকে সরে আসেননি।
জোতদার পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি বর্গা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। কিছুদিন মাথাভাঙ্গা আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন, কিন্তু তাঁর আসল পরিচয় ছিল একজন সংগ্রামী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে।
মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব ও জনসেবার ইতিহাস
দীনেশ ডাকুয়া ১৯৮৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন:
- ১৯৮৭–১৯৯৬: তফসিলি জাতি ও উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী
- ১৯৯৬–২০০১: এসসি, এসটি ও ওবিসি কল্যাণ মন্ত্রী
- ২০০১–২০০৬: পর্যটন মন্ত্রী
উত্তরবঙ্গের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে তিনি সবসময় দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ছিল স্পষ্ট, সাহসী এবং জনমুখী।
শেষ শ্রদ্ধা
আজ তাঁর প্রয়াণের পর পার্টির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. বেবি, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব, মহঃ সেলিম, শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, রামচন্দ্র ডোম, শমীক লাহিড়ী, সুজন চক্রবর্তী, সুমিত দে, কনীনিকা বোস ঘোষ, মীনাক্ষী মুখার্জী, দেবব্রত ঘোষ, সমন পাঠক সহ বহু পার্টি নেতা তাঁর মরদেহে মাল্যদান করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রয়াত ডাকুয়ার মরদেহ আগামীকাল সকাল ১০টায় মাথাভাঙ্গা হয়ে কোচবিহার জেলা দপ্তরে পৌঁছাবে আনুমানিক বেলা ১২টা নাগাদ। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর, তাঁর মরদেহ দান করা হবে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊