Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

অবশেষে চালু হল বাগডোগরা থেকে গ্যাংটক হেলিকপ্টার পরিষেবা, জানুন ভাড়া ও সময়সূচি

অবশেষে চালু হল বাগডোগরা থেকে গ্যাংটক হেলিকপ্টার পরিষেবা, জানুন ভাড়া ও সময়সূচি 

Bagdogra to Gangtok helicopter, Gangtok helicopter service, Sikkim tourism news, MI-172 helicopter route, Gangtok air travel update, Bagdogra helipad booking, Sikkim STDTC helicopter, Gangtok helicopter fare, Gangtok helicopter timing, Northeast India air connectivity
Photo: x


দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে চালু হল বাগডোগরা থেকে গ্যাংটক হেলিকপ্টার পরিষেবা। স্কাইওয়ান এয়ারওয়েজ লিমিটেড এবং সিকিম ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এসটিডিসি)-এর যৌথ উদ্যোগে এই পরিষেবা আবারও চালু হওয়ায় সিকিমের পর্যটন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। পাহাড়ি পথে দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর যাত্রার বিকল্প হিসেবে এই হেলিকপ্টার পরিষেবা পর্যটকদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে।

এই রুটে ব্যবহৃত হচ্ছে ২০ সিটের এমআই-১৭২ হেলিকপ্টার, যা যাত্রীদের জন্য দ্রুত এবং আরামদায়ক যাত্রার সুযোগ করে দিচ্ছে। একমুখী যাত্রার জন্য একজন যাত্রীর ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ₹৪,৫০০। যাত্রীরা সর্বোচ্চ ১০ কেজি ওজনের লাগেজ নিয়ে যেতে পারবেন, যার মাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ৫৫ সেমি x ৪০ সেমি x ২০ সেমি। প্রতিদিন চারটি ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে গ্যাংটক থেকে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে বাগডোগরায় পৌঁছবে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে, এবং বাগডোগরা থেকে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে গ্যাংটকে পৌঁছবে সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে। দ্বিতীয় দফায় গ্যাংটক থেকে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে বাগডোগরায় পৌঁছবে দুপুর ১টায়, এবং বাগডোগরা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে গ্যাংটকে পৌঁছবে দুপুর ২টো ৫ মিনিটে।

এই পরিষেবা আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পরিচালিত হবে, ফলে খারাপ আবহাওয়ায় ফ্লাইট বাতিল বা সময় পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকছে। টিকিট বুকিংয়ের জন্য যাত্রীরা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গ্যাংটকের এসটিডিসির এমজি মার্গ অফিস অথবা বাগডোগরা বিমানবন্দরের হেলিপোর্ট বুকিং অফিসে যোগাযোগ করতে পারবেন। ফোনে বুকিংয়ের জন্য দেওয়া হয়েছে দুটি নম্বর—০৩৫৯২-২০৩৯৬০ এবং ৭৩১৮৯০৬৬৭৭।

এই পরিষেবা শুধু যাত্রীদের সুবিধা নয়, সিকিমের পর্যটন শিল্পের জন্যও এক বড় পদক্ষেপ। দ্রুত যাতায়াতের ফলে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে, স্থানীয় ব্যবসা ও হোটেল শিল্পে নতুন গতি আসবে। পাশাপাশি, জরুরি পরিস্থিতিতেও এই পরিষেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পাহাড়ি রাজ্য সিকিমকে আরও সংযুক্ত, আরও পর্যটক-বান্ধব করে তুলবে এই উদ্যোগ—এমনটাই আশা করছেন পর্যটন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code