প্লাস্টিক বর্জনের জন্য আওয়াজ তুললো বাসন্তীরহাটের ছাত্র-ছাত্রীরা
আজকের সমাজে প্লাস্টিক এমন এক বস্তু যা সহজে ব্যবহারযোগ্য হলেও এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী এবং বিপজ্জনক। প্লাস্টিক ব্যাগ ভেঙে যেতে শত শত বছর সময় নেয়, যার ফলে এটি পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরে রয়ে যায় এবং মৃত্তিকা ও জলদূষণের অন্যতম উৎস হয়ে ওঠে। বিশেষত সামুদ্রিক পরিবেশে প্লাস্টিকের প্রভাব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার সামুদ্রিক পাখি, মাছ ও জলজ প্রাণী প্লাস্টিক খেয়ে ফেলে, যা তাদের মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনে। শুধু প্রাণীকুলই নয়, মানুষের জীবনেও এটি প্রভাব ফেলছে, কারণ খাদ্যচক্রে প্লাস্টিক কণার প্রবেশ ক্রমশ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ব্যাগ মুক্ত দিবস সমগ্র দেশের সাথে সাথে রাজ্য সরকারও পালন করছে। আজ বুড়িরহাট ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বাসন্তীরহাট কুমুদিনী উচ্চবিদ্যালয়ের এই বিষয়ে আলোচনা সভা ও সচেতনতা র্যালির আয়োজন করা হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বুড়িরহাট ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীমতি পিঙ্কি বর্মন মন্ডল, পঞ্চায়েত সদস্যা শ্রীমতি ঝুমকি দত্ত, পঞ্চায়েত সদস্যা শ্রীমতি সঞ্চয়িতা রায় সরকার, বাসন্তীরহাট কুমুদিনী উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী দেবাশিস দেব এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌতম বর্মন, ভি বি ডি সি সদস্য রামকৃষ্ণ বর্মন, এনসার মিয়াঁ, মফিদুল মিয়াঁ, নারায়ন অধিকারী, সুশান্ত বর্মন, রীতা বর্মন প্রমূখ।
শ্রী দেবাশিস দেব বলেন, আমাদের প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। অতিমাত্রায় প্লাস্টিক ব্যবহারে আমরা বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতার শিকার হচ্ছি প্রতিনিয়ত। প্লাস্টিক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতাই পারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে।
বুড়িরহাট ২ নং অঞ্চল প্রধান শ্রীমতি পিঙ্কি বর্মন মন্ডল জানান, বিগত ১ জুলাই থেকে আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত প্লাস্টিক ব্যাগ বর্জন বিষয়ে রাজ্যসরকারের উদ্যোগে একাধিক উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। আমরা নিয়মিত এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করছি। প্রতিটি গ্রাম ধরে ধরে প্লাস্টিক ব্যাগ বর্জন বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে।
সমাজসেবী গৌতম বর্মন জানান, বিদ্যালয় আমাদের দ্বিতীয় গৃহ, আর এই গৃহকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ছাত্রদের কর্তব্য। আজ ছাত্রদের মাধ্যমেই প্লাস্টিক ব্যাগ বর্জন বিষয়ে সচেতনতার প্রচার সবথেকে দ্রূত সমাজের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে পড়বে। তাই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
এদিনের আলোচনা পর্ব শেষে একটি সচেতনতা র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালি শেষে বিদ্যালয়ে পরিষ্কার করবার কর্মসূচী পালন করা হয়। প্লাস্টিক বর্জন বিষয়ে এদিনের অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের জাতীয় সেবা প্রকল্প শাখার সদস্যরাও বিশেষভাবে অংশগ্রহন করে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊