প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ

Supreme Court administration takes strict action in former Chief Justice's official residence controversy


নয়াদিল্লি, ৭ জুলাই, ২০২৫: ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি (CJI) ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড়ের সরকারি বাসভবন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি অনুমোদিত সময়সীমার পরও সরকারি বাসভবনটি দখল করে রেখেছেন, যা সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব নীতিমালার পরিপন্থী। এই প্রেক্ষিতে, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এবার সরাসরি কেন্দ্র সরকারের গৃহনির্মাণ ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে ওই বাসভবনটি অবিলম্বে দখলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।


সাধারণত, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিরা অবসরের পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সরকারি বাসভবনে থাকার অনুমতি পান। এই সময়সীমা পার হয়ে গেলে তাদের বাসস্থান খালি করে দিতে হয়, যাতে নতুন প্রধান বিচারপতি বা অন্য যোগ্য বিচারপতিরা সেখানে থাকতে পারেন। অভিযোগ উঠেছে যে, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড় এই অনুমোদিত সময়সীমা অতিক্রম করার পরেও বাসভবনটি খালি করেননি।


সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। তাদের মতে, এটি কেবল একটি নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনা নয়, বরং বিচার বিভাগের উচ্চ পদে থাকা ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত প্রোটোকল এবং নৈতিকতার প্রশ্ন। চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির দীর্ঘকাল ধরে বাসভবনটি দখল করে রাখা সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ নীতিমালার পরিপন্থী এবং এটি বিচার বিভাগের কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।


গৃহনির্মাণ ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রক সরকারি বাসভবনগুলির বরাদ্দ এবং দখলের বিষয়টি তত্ত্বাবধান করে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এই অনুরোধের পর মন্ত্রক কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই এখন সবার নজর। আইন অনুযায়ী, যদি কোনো সরকারি বাসভবন অবৈধভাবে দখল করা হয়, তবে তা খালি করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।

এই ঘটনা বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা এবং আইন মেনে চলার গুরুত্বকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির মতো একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ বিচার বিভাগের ভাবমূর্তির উপর কেমন প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, কেন্দ্র সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ এবং বাসভবনটি দ্রুত খালি করার বিষয়টি বিচার বিভাগের মর্যাদা এবং প্রোটোকলের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে সহায়ক হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।