সুপ্রিম নির্দেশের পরেও অযোগ্যদের সুযোগ কেন? রাজ্য ও SSC-র জবাব তলব হাইকোর্টের
২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিমকোর্ট। চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। এরপর আদালতের নির্দেশে নয়া নিয়োগ শুরু করলেও অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিচ্ছে রাজ্য। অযোগ্যদের কেন সুযোগ এবার সেই জবাব তলব হাইকোর্টের।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও কেন অযোগ্যদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন হাইকোর্টের। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের রায় মোতাবেক পুরনো বিধি মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া করার পরিবর্তে কেন নতুন বিধি আনা হল? প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী সোমবারের মধ্যে রাজ্য এবং এসএসসিকে বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্য এবং এসএসসির উদ্দেশে বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কেন দাগীদের অনুমতি দেওয়া হল? আপনাদের ৩০ মে-র বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও বলা নেই দাগী চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে না। আমার পর্যবেক্ষণে এটা ওই বিজ্ঞপ্তিতে না থাকা কয়েকটি গলদ।”
বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও দাগী (দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে এমন) এবং দাগী নন (দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি) এমন চাকরিপ্রার্থীদের পৃথক করার কথা বলা হয়নি। তা নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি জানাচ্ছিলেন যোগ্য বলে দাবি করা চাকরিহারারা।
রাজ্যের ২৫,৭৫২ চাকরি বাতিল করে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে নির্দেশ দিয়েছে। সেই মতোই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য। গত ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনে আবেদনের শেষ দিন ১৪ জুলাই। পরীক্ষা, স্ক্রুটিনি, ইন্টারভিউয়ের পর আগামী ১৫ নভেম্বর প্যানেল প্রকাশ করা হবে। সেই অনুযায়ী কাউন্সেলিং হবে ২০ নভেম্বর থেকে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊