নিয়োগে দুর্নীতি, দেখেও কি চোখ বন্ধ রাখবে বিচারপতি? প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় প্রশ্ন হাইকোর্টের
প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নথি থেকেই দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে। পর্ষদের নথি থেকেই অনুমান করা যায় দুর্নীতি হয়েছে।
বিচারপতির প্রশ্ন, অনিয়ম দেখেও কি চোখ বন্ধ করে থাকবে বিচারপতি? ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতির ‘‘যদি এক জন বিচারপতি দেখেন, টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে, নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে তখন তিনি কী করবেন? চোখ বন্ধ করে থাকবেন?’’ বিচারপতি চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘আদালত যদি দেখে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, প্রশাসনিক কর্তারা যুক্ত রয়েছেন, রাজ্যের মন্ত্রী যুক্ত রয়েছেন, তখন বিচারপতিরা কী করবেন? কিছুই কি করবেন না?’’
দুর্নীতি করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ তবে নতুন প্যানেল কেন তাঁদের করতে বলা হচ্ছে? অন্য কোনো সংস্থাকে দেওয়া হোক। সওয়াল চাকরি হারাদের আইনজীবির। এই মামলার শুনানি মঙ্গলবারও শেষ হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানি।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন প্রায় এক লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থী। পর্ষদ ২০১৬ সাল থেকে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। চাকরি দেওয়া হয় ৪২ হাজার ৯৪৯ জনকে। একাধিক ত্রুটির অভিযোগে মামলা হলে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারা শিক্ষকেরা। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দিলে মামলা যায় সুপ্রিমকোর্টে। সুপ্রিমকোর্ট মামলা হাইকোর্টে ফেরৎ পাঠায়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊