টোটো চলাচলে নতুন নিয়ম: থাকবে QR কোড, রুট নির্ধারণ ও চালকদের প্রশিক্ষণ
শিলিগুড়ি, ১ জুলাই ২০২৫ — রাজ্যের রাস্তায় টোটোর দাপট এবং যানজটের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। এবার থেকে প্রতিটি টোটোতে QR কোড ও নম্বরযুক্ত স্টিকার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পাশাপাশি, চালকদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং নির্দিষ্ট রুট নির্ধারণের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
নতুন নিয়মগুলি একনজরে...
১. QR কোড ও নম্বরযুক্ত স্টিকার
প্রতিটি টোটোতে থাকবে একটি ইউনিক QR কোড, যা স্ক্যান করলেই মালিক, চালক ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে। এর ফলে অবৈধ টোটো চিহ্নিত করা সহজ হবে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তাও বাড়বে।
২. রেজিস্ট্রেশন ও পারমিট বাধ্যতামূলক
সব টোটোর জন্য রেজিস্ট্রেশন ও বৈধ পারমিট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। বর্তমানে শিলিগুড়িতে প্রায় ৪ হাজার টোটো রেজিস্ট্রেশনকৃত হলেও, বাস্তবে চলাচল করছে প্রায় ৭ হাজার অবৈধ টোটো।
৩. চালকদের প্রশিক্ষণ
প্রতিটি থানার অধীনে চালকদের জন্য কর্মশালা আয়োজন করা হবে, যেখানে ট্রাফিক আইন, যাত্রী নিরাপত্তা এবং আচরণবিধি শেখানো হবে।
৪. রুট নির্ধারণ ও জাতীয় সড়কে নিষেধাজ্ঞা
জাতীয় সড়কে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। শহরের মূল রাস্তায় টোটো চলাচল সীমিত করা হবে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্দিষ্ট রুট নির্ধারণ করা হবে।
কেন এই পদক্ষেপ?
- যানজট ও দুর্ঘটনা: অবৈধ টোটোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শহরে যানজট ও দুর্ঘটনার হার বেড়েছে।
- নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল: রুট নির্ধারণ না থাকায় টোটো যত্রতত্র চলাচল করছে, যা ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে।
- আর্থিক স্বচ্ছতা: QR কোডের মাধ্যমে রাজ্য সরকার টোটো থেকে রাজস্ব আদায়ের পথও খুলে দিতে চায়।
পরিবহণ মন্ত্রীর বক্তব্য
পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SOP) তৈরি করছি। QR কোড, রুট নির্ধারণ এবং চালকদের প্রশিক্ষণ — এই তিনটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করেই নতুন নীতি গড়ে তোলা হচ্ছে।”
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊