Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

ভাষা আন্দোলনের ডাক: ২০২৬-এর ভোটের আগে বাঙালির অধিকার রক্ষায় পথে তৃণমূল

ভাষা আন্দোলনের ডাক : ২০২৬-এর ভোটের আগে বাঙালির অধিকার রক্ষায় পথে তৃণমূল

CM Mamata Banerjee


সংবাদ একলব্য, ২৭ জুলাই : ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতির মর্যাদা রক্ষায় পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষী অভিবাসীদের উপর “ভাষাসন্ত্রাস” ও হেনস্তার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করলেন নতুন ভাষা আন্দোলন। ২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে এই আন্দোলনের ঘোষণা করেন তিনি, যা ২৭ জুলাই থেকে রাজ্যজুড়ে সপ্তাহান্তে চলবে।

মমতার অভিযোগ, ওডিশা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান সহ একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে শুধুমাত্র বাংলা বলার অপরাধে ১০০০-এর বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, “বাংলায় ১.৫ কোটি অভিবাসীকে আমরা স্বাগত জানাই, অথচ দেশের অন্য রাজ্যে আমাদের ভাষার জন্য শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটা ভাষার উপর সন্ত্রাস”।

এই আন্দোলনের প্রথম ধাপে ২৮ জুলাই বোলপুরে প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত শহর থেকেই বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতির উপর ‘অন্যায়-অবিচার’-এর বিরুদ্ধে সরব হবেন তিনি।

তৃণমূলের কর্মসূচি অনুযায়ী, প্রতি শনিবার ও রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলবে বিক্ষোভ, অবস্থান ও প্রতিবাদ সভা। দিল্লিতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল সাংসদদেরও বিক্ষোভে নামার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে ৯ আগস্ট ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন তিনি।

তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনও এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে। মহিলা তৃণমূল, যুব কংগ্রেস, কিসান ও ফার্ম ওয়ার্কর্স, শিক্ষাবন্ধু সেল, আদিবাসী সেল, প্রাইমারি টিচার্স অর্গানাইজেশন, মাইনরিটি অর্গানাইজেশন সহ একাধিক সংগঠন ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করবে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

অন্যদিকে বিজেপি এই আন্দোলনকে লোকদেখানো বলে কটাক্ষ করেছে। বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “বাংলার ভাষাকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। মমতা শুধু বিতর্ক তৈরি করতে চান।” রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, “মমতা আসলে বাংলাদেশের মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করতে চাইছেন”।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভাষা আন্দোলনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করে ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে তৃণমূল। বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের প্রশ্নে এই আন্দোলন আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code