আজ হাইকোর্টে তিন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানি: নজরে গোটা রাজ্য
কলকাতা, ১ জুলাই ২০২৫ — আজ কলকাতা হাইকোর্টে শিক্ষা দপ্তর সংক্রান্ত তিনটি বড় মামলার শুনানি ঘিরে রাজ্যজুড়ে চরম উত্তেজনা। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে এসএসসি-র নতুন নিয়োগ বিধি এবং কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষা নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানিতে উঠে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
১. প্রাথমিক ৩২,০০০ শিক্ষক নিয়োগ মামলা
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট-এর ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার আজ পূর্ণাঙ্গ শুনানি। মামলাকারীদের অভিযোগ, অযোগ্য প্রার্থীদের বেশি নম্বর দিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে, এবং অনেকেই প্রশিক্ষণ ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন।
- মামলাটি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও ঋতব্রতকুমার মিত্র-র ডিভিশন বেঞ্চে চলছে।
- প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০১৬ সালের নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে এবং দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই।
- মামলাটি ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে ফেরত এসেছে হাইকোর্টে।
সূত্র: ABP Ananda রিপোর্ট
২. এসএসসি-র নতুন নিয়োগ বিধি চ্যালেঞ্জ
২০২৫ সালের SSC নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিও আজ হাইকোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, নতুন নিয়োগ বিধি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী এবং ২০১৬ সালের প্রার্থীদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
- নতুন নিয়মে লিখিত পরীক্ষার নম্বর ৫৫ থেকে বাড়িয়ে ৬০, এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার নম্বর কমিয়ে ১০ করা হয়েছে।
- শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ও লেকচার ডেমোস্ট্রেশন-এর জন্য নতুনভাবে ২০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে।
- মামলাটি বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়-এর বেঞ্চে শুনানি হয়েছে।
সূত্র: The Wall রিপোর্ট
৩. কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ
২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা নিয়োগে সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করে অবৈধভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলায় আজ হাইকোর্ট CBI-কে জবাবদিহি করতে বলেছে, আদৌ টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে কি না।
- মামলাটি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু-র বেঞ্চে চলছে।
- মামলাকারীদের দাবি, ১,৬০০ পদে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, এবং ফাঁকা OMR শিট জমা দিয়েও চাকরি পাওয়া গেছে।
- আদালত CBI-র পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছে।
সূত্র: ETV Bharat রিপোর্ট
আজকের এই তিনটি মামলার শুনানি রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, এসএসসি নিয়োগ বিধি ও কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষা নিয়োগ — প্রতিটি ক্ষেত্রেই আদালতের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ আগামী দিনের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নতুন দিশা দেখাতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊