জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত, তিস্তা নদীতে হলুদ সতর্কতা জারী
রবিবার ১লা জুন সকালে থেকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু করলো উত্তরবঙ্গ বন্য নিয়ন্ত্রণ কমিশনের বিশেষ কন্ট্রোল রুম, বর্ষার প্রথম স্পেলের দাপটে ব্যাহত স্বাভাবিক জনজীবন সহ সড়ক পথ।
রবিবার জলপাইগুড়ি সেচ দফতরের অধীনে জলপাইগুড়ি সেচ ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু করেছে আলিপুরদুয়ার, কোচ বিহার,শিলিগুড়ি,জলপাইগুড়ি সহ মোট ১০ টি স্থানের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা সহ তিস্তা,কালজানী, জলঢাকা ,মতো পাহাড়ী নদীর জলস্তর ২৪ ঘণ্টা পরিমাপের কাজ।
অপরদিকে গত চব্বিশ ঘণ্টায় জলপাইগুড়ি সহ অন্যান্য স্থানের বৃষ্টিপাতের ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে বানারহাটে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬২ দশমিক শূন্য মিলিমিটার।এছাড়াও অন্যান্য স্থানগুলিতে গত চব্বিশ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
- জলপাইগুড়ি - 37.30/600.80
- আলিপুরদুয়ার - 83.40/843.40
- কোচবিহার - 37.40/791.50
- শিলিগুড়ি - 27.00/634.80
- মালবাজার - 37.90/913.00
- হাসিমারা - 15.00/1060.80
- বানারহাট - 62.00/691.00
- মাথাভাঙ্গা - 32.40/751.90
- তুফানগঞ্জ - 28.20/828.20
- ময়নাগুড়ি - 41.00/608.80
এদিকে বর্ষার প্রথম স্পেলের বৃষ্টিতেই ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন ,ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা নদী সংলগ্ন কয়েকটি গ্রাম থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাবার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন, এছাড়াও ভুটান এবং উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ নম্বরের ওপর অবস্থিত গেরগেন্ডা সেতুর মুখের অংশটি জলের তোরে ধসে যাওয়ায় শনিবার রাত থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল, বিকল্প পথ দিয়ে রবিবার ভুটান এবং উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছে জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গ।
শনিবার রাতে জারী করা জলপাইগুড়ির দমহনী থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীতে লাল বিপদ সংকেত রবিবার তুলে হলুদ সতর্কতা সংকেত বহাল রেখেছে সেচ দফতর।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊