কসবা কাণ্ড নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, মদন মিত্রকে শোকজ তৃণমূলের




কসবা কাণ্ড নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, মদন মিত্রকে শোকজ তৃণমূলের। রবিবার দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী শো কজ়ের চিঠি পাঠিয়েছেন মদন মিত্রকে। তিনদিনের মধ্যে শোকজের জবাব চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, কসবাকাণ্ড নিয়ে মদন যে মন্তব্য করেছেন, তাতে জনসমক্ষে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই তাঁকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

মদন মিত্র মন্তব্য করেন, ওই ছাত্রীর একা একা কলেজে যাওয়াই উচিত হয়নি। কেন তিনি একা গিয়েছিলেন? এরপরেই তৃণমূলের তরফে মদন মিত্রের মন্তব্যের বিরোধীতা করে বিবৃতি জারি করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘ওই মেয়েটি যদি ওখানে না যেত, এই ঘটনা তো ঘটত না। যাওয়ার সময়ে যদি কাউকে বলে যেত, দু’জন বান্ধবীকে নিয়ে যেত, বাবা-মাকে নিয়ে যেত, তা হলে এটা ঘটত না। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে অভিযুক্তেরা।’’ নির্যাতিতার উদ্দেশে মদন আরও বলেন, ‘‘আপনি তো ওদের চিনতেন। জানতেন এখন পরীক্ষা চলছে। কলেজ বন্ধ। কেউ নেই। আপনাকে বলা হয়েছিল, মেয়েদের বিভাগের সাধারণ সম্পাদক করা হবে। এটা হওয়ার জন্য আপনি গেলেন কেন? গেলেন যখন চারটে বন্ধু নিয়ে গেলেন না কেন? মা-বাবাকে নিয়ে গেলেন না কেন? আমাদের পার্টির কর্মীদের জানিয়ে গেলেন না কেন? একদম একা, কলেজ পুরো ফাঁকা, আপনি চলে গেলেন! এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে অভিযুক্তেরা। আপনি বলেছেন, আপনি মূর্ছিত হয়ে পড়েছিলেন এবং বুঝতে পেরেছেন যে আপনাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আপনার প্রেমিককে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এত কিছু যদি আপনি আগে থেকেই জানতেন, এদের চরিত্র সম্পর্কে আপনি অবহিত ছিলেন... আমার মনে হয় অন্য মেয়েরাও শিক্ষা নেবে। কেউ কখনও আলাদা করে ডাকলে যাবে না।’’

রবিবার মদনকে শো কজ়ের যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘‘কলকাতার কসবায় আইন পড়ুয়া ছাত্রীর প্রতি নিদারুণ ঘৃণ্য দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। অত্যন্ত সংবেদনশীল এই দুঃখজনক পাশবিক অত্যাচারের ঘটনায় পার্টির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বিশেষ ভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছে। কঠোর ভাবে ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। দুষ্কৃতীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আপনার অযাচিত, অপ্রয়োজনীয় ও অসংবেদনশীল মন্তব্য আমাদের দলের ভাবমূর্তিকে যারপরনাই আঘাত করেছে। একইসঙ্গে আপনার মন্তব্য দলের কঠোর অবস্থানের বিরুদ্ধাচারণ করছে। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের এই আচরণের জন্য আপনাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’’