উত্তাল নাইরোবি-পুলিশের গুলিতে নিহত ১৯, নিখোঁজ ১৫


A protest scene with multiple uniformed police officers surrounding and detaining a young man holding a Kenyan flag. The officers appear forceful, and the man looks distressed. A crowd watches in the background, reflecting tension and unrest
photo credit: 
Al Jazeera

২০২৪ সালের করবৃদ্ধি-বিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে ফের রক্তাক্ত হল কেনিয়া, পুলিশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ


২৫ জুন ২০২৫, কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি-সহ ২৩টি কাউন্টিতে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং ১৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে Kenya National Commission on Human Rights (KNCHR)। আহত হয়েছেন প্রায় ৪০০ জন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যরাও।

এই বিক্ষোভের মূল প্রেক্ষাপট ছিল ২০২৪ সালের ২৫ জুনের সেই ভয়াবহ দিন, যেদিন করবৃদ্ধির প্রতিবাদে পুলিশের গুলিতে ৬০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। সেই ঘটনার বর্ষপূর্তিতে এবারও হাজার হাজার তরুণ রাস্তায় নামেন “Ruto Must Go” এবং “Occupy Statehouse” স্লোগান তুলে। কিন্তু শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দ্রুত রূপ নেয় সংঘর্ষে।

পুলিশ লাইভ গুলি, রাবার বুলেট, জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। নাইরোবির রংগাই এলাকায় ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এছাড়া দুইটি পুলিশ স্টেশন ও একাধিক সরকারি ভবন বিক্ষোভকারীরা পুড়িয়ে দেয়।

এই ঘটনার পেছনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ—৩১ বছর বয়সী ব্লগার ও শিক্ষক আলবার্ট ওজওয়াং-এর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু। তাঁকে উপ-পুলিশ প্রধানকে অপমান করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় হাসপাতালে। এই মৃত্যু ঘিরে দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিপচুম্বা মুরকমেন পুলিশের ভূমিকার পক্ষে সাফাই দিয়ে বলেন, “তাঁরা একটি কূটচক্রান্ত ব্যর্থ করেছেন” এবং “পুলিশ খেলনার মতো বন্দুক বহন করে না”। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলি এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বলেছে, “এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে”।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।