হুহু করে কমছে মুরগির মাংসের দাম!
হুহু করে কমছে মুরগির মাংসের দাম! বাজারে চোখে পড়ছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়! কিন্তু কেন এত কমছে মুরগির মাংসের দাম? আসল কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও।
সকাল থেকেই জলপাইগুড়ি শহরের বাজার ও মাংস দোকানে চোখে পড়ছে ভিড়। শুধু জেলাতেই নয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও কমেছে মুরগির মাংসের দাম। মূল্যবৃদ্ধির ছোয়াতে একসময় মুরগির মাংসের দাম ছিল ২০০ টাকারও বেশি। কিন্তু সম্প্রতি হু হু করে দাম কমায় মুখে হাসি ফুটেছে ক্রেতাদের। ক্রেতারা মুখে হাসি নিয়ে বলছেন, “আগে প্রতি কেজি মুরগি ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কিলো দর। এখন গোটা মুরগি মিলছে ৯০-১০০ টাকায় আর কাটা মুরগি মিলছে 100 থেকে 120 টাকায়”।
বিক্রেতারাও লাভবান—কারণ বিক্রির সংখ্যা বেড়েছে। “লাভ কমে গেলেও বিক্রি বাড়ার ফলে সামগ্রিক আয় ভালো হচ্ছে”, এ কথা জানালেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। তবে, বর্তমানে মুরগির পাইকারি দাম ৮০ টাকা কেজি। তাই ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এই দাম ১১৫ টাকা হলে খামার মালিকেরা লাভের মুখ দেখতে পারেন।
অন্তত ৯০-৯৫ টাকা হলেও লোকসান খানিকটা সামাল দেওয়া যায়। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ এ–ও বলছেন, আগে উত্তরবঙ্গ থেকে মুরগি অসমে যেত। বর্তমানে প্রশাসন সীমানা সিল করে দেওয়ায় তা বন্ধ। ব্যবসায়ীদের আবেদন, পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে যদি অসমের সীমানা খুলে দেওয়া হয়, তা হলেও কিছুটা সুরাহা হয়।
কিন্তু কেন দাম কমল মুরগির? প্রাণিসম্পদ দফতরের সূত্র অনুযায়ী, রাজ্যে বেড়েছে মুরগি উৎপাদনের পরিমাণ। চাহিদা অনুযায়ী মুরগি মেলায় সামঞ্জস্য বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে দামের ক্ষেত্রে। মধ্যবিত্তির একেবারে নাগালে রয়েছে এখন এই মুরগির মাংসের দাম। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদন বৃদ্ধি চলছেই—রাজ্যের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে হরিণঘাটা মিট‑এর মতো সরকারি উদ্যোগও চালু হয়েছে। এর ফলে বাজারে ব্যাকলগও কমেছে, মাংসের দাম নিয়ন্ত্রিত হয়ে এসেছে। উভয়পক্ষের সন্তুষ্টি স্পষ্ট—খুশি ক্রেতা দাম কমায়, আর বিক্রেতা খুশি লাভে। নতুন এই দামে সামাজিকভাবে সরাসরি উপকার হচ্ছে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊