এত কিছুর পরেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ব্যর্থ ইতিহাস বিখ্যাত বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশন

Burdwan



সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান:-

এত কিছুর পরেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ব্যর্থ ইতিহাস বিখ্যাত বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশন।১৮৫৫ সালের ১৫ই আগস্ট হাওড়া থেকে বর্ধমান পর্যন্ত প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়।এটি দেশের মধ্যে একটি বৃহৎ রেল স্টেশন বলা যেতে পারে।1855 সালে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।1917 সালে হাওড়া থেকে বর্ধমানের একটি সংক্ষিপ্ত সংযোগকারী লাইন, হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন নির্মিত হয়। 1958 সালে 25 কেভি এসি ওভারহেড সিস্টেমের মাধ্যমে হাওড়া-বর্ধমান মেইন লাইনের বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছিল। বর্ধমান স্টেশন তার পুরনো স্থাপত্যের জন্য পরিচিত ছিল। স্টেশনটিকে "অমৃত ভারত স্টেশন" প্রকল্পের আওতায় সম্পন্ন করতে একাধিক উন্নয়নের পথ অবলম্বন করে বর্ধমান রেল‌ওয়ে কর্তৃপক্ষ।

স্টেশনটির একটি ঐতিহ্যবাহী অংশ ভেঙে যাওয়ার পর, এটিকে নতুন করে সাজানো হয়েছে, যা স্টেশনটি "অমৃত ভারত স্টেশন" প্রকল্পের অধীনে আধুনিকীকরণ করা হয়েছে, এখানে একটি আধুনিক ডিজাইনের ওয়েটিং হল, উন্নত যাত্রী সুবিধা এবং একটি নান্দনিক পরিবেশ তৈরি করে স্টেশন কর্তৃপক্ষ।বর্ধমান স্টেশন শুধু একটি রেলওয়ে স্টেশন নয়, এটি শহরের ইতিহাসেরও একটি অংশ। এখানকার পুরনো স্থাপত্য ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য অনেকে দাবি জানিয়েছেন, বিশেষ করে স্টেশনটির ভেঙে যাওয়া অংশটি পুনরুদ্ধার করার জন্য। এর পর একের পর এক উন্নয়নের ধারা বজায় রেখেছে বর্ধমান রেল কর্তৃপক্ষ।

রেল স্টেশনকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়োগ করা হয়েছে একাধিক সাফাই কর্মী। স্টেশন চত্বরে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশিকাও জারি করেছে বর্ধমান রেল‌ওয়ে জংশন কর্তৃপক্ষ।এতো কিছুর পরেও যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের ব্যর্থ তা স্টেশনের দেয়াল দেখেই বোঝা যায়।

রেলস্টেশন দেওয়ালে লেগে আছে পানের পিক,গুটকার পিক থুতু।পোড়া বিড়ি সিগারেট, দেশলাই সহ নানা ধরনের বজ্র পদার্থ।পান,গুটকার পিকের নাজেহাল রেলযাত্রীরা। তবে শুধু সাফাই কর্মীই না, স্টেশনকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নজরদারির আবেদন জানিয়েছেন বর্ধমান স্টেশনের ট্রেন যাত্রীরা।তবে এবিষয়ে কথা বলতে চাননি বর্ধমান রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ।