পাকিস্তানে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত, উত্তপ্ত কূটনৈতিক পরিস্থিতি
২৮ জুন ২০২৫, শনিবার সকালে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলি এলাকায় এক ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় (Khyber Pakhtunkhwa Terrorist Attack) প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন সেনা। আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন নারী ও শিশুসহ বহু সাধারণ নাগরিক। হামলাটি চালায় পাকিস্তানি তালিবানের একটি উপদল (Pakistan Taliban Attack 2025) —হাফিজ গুল বাহাদুর গ্রুপ, যারা একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কনভয়ের ওপর আছড়ে ফেলে।
এই হামলাকে ঘিরে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা চরমে উঠেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এই হামলার পেছনে ভারতের মদত রয়েছে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এই অভিযোগকে “ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান” করেছে এবং একে “ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে আখ্যা দিয়েছে।
হামলার তীব্রতায় আশপাশের দুটি বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে, আহত হয় ছয় শিশু। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছিল প্রায় ৮০০ কেজি বিস্ফোরক, যা গোটা এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়। হামলার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাল্টা অভিযানে ১৪ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে।
এই হামলা পাকিস্তানে চলমান নিরাপত্তা সংকটেরই প্রতিফলন। ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখোয়া ও বালুচিস্তানে ২৯০ জনেরও বেশি মানুষ জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন, যাঁদের অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
এই ঘটনার পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির বলেন, “দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনও প্রচেষ্টার জবাব দেওয়া হবে কঠোরভাবে।” অন্যদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্ডাপুর এই হামলার নিন্দা করে নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এই হামলা শুধু পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির জটিলতাকেও সামনে এনে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের হামলা ও পাল্টা অভিযোগ-প্রতিযোগ দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊