জাল আধার কার্ড চক্রে বোলপুরের তিন যুবক সন্দেহের তালিকায়, এসটিএফের হাতে ধৃত দুই অভিযুক্ত
জাল আধার কার্ড তৈরির অভিযোগে এবার বোলপুরের তিন যুবকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ-এর দুর্নীতি দমন শাখা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সংযোগের প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় এসটিএফ।
গ্রেফতার হওয়া দুই যুবকের মধ্যে একজন হলেন শ্রীনিকেতন ব্লকের কেন্দ্রডাঙাল গ্রামের মুন্না শেখ ওরফে আব্দুস কুদ্দুস, যাকে রবিবার বোলপুর স্টেশন এলাকা থেকে আটক করা হয়। এরপর রাতে তার বাড়ির সংলগ্ন দোকানে চলে গভীর তল্লাশি। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক ল্যাপটপ, মোবাইল, প্রিন্টার ও গুরুত্বপূর্ণ নথি।
একই রাতে যাদবপুর গ্রামের আরেক যুবক মিরাজ শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। ধৃতদের সোমবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এই ঘটনার সঙ্গে বোলপুরের জামবুনির একটি সাইবার ক্যাফের যোগ পাওয়া গিয়েছে। জানা গেছে, ওই ক্যাফের মালিক ইমরান আহমেদের ল্যাপটপও বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা এবং দোকানে কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয়।
শুধু আধার নয়, নাগরিক পরিচয়পত্র তৈরির চেষ্টাও? তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, শুধু জাল আধার কার্ড নয়, ভারতীয় নাগরিকত্বের সচিত্র পরিচয়পত্র তৈরির চেষ্টারও অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিক মুন্না শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করে, যা সন্দেহ ঘনীভূত করে।
মুন্না শেখের পরিবারের বক্তব্য, তাদের ছেলে শুধুই অনলাইন কাজ করত, কোনও বেআইনি কাজে সে যুক্ত নয়। মিরাজ শেখের পরিবারের দাবি, সে সাইবার ক্যাফেতে কাজ করত, কিন্তু বিস্তারিত জানা নেই।
সাইবার ক্যাফে মালিক ইমরান আহমেদ বলেন, "তদন্তে আমি সবরকম সাহায্য করছি। আমার ল্যাপটপ তারা নিয়ে গিয়েছেন। তদন্তকারী যা বলবেন, মান্য করব।"
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊