SSC-র শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বিভ্রান্তি! ফের কি আদালতে লড়াই! বাড়ছে জল্পনা

ssc


সুপ্রিমকোর্টের নিয়োগ ডেড লাইন মেনেই ৩০শে মে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে নানান জল্পনা। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এই বিজ্ঞপ্তি বাতিল হবে বলেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। এছাড়াও বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বেশ কিছু ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি সকল প্রার্থী তথা ২০১৬ এর সাথে সাথে ফ্রেশারদের সুযোগ থাকছে এমনটা মনে করা হচ্ছে। তবে আদৌ কি ফ্রেশাররা সুযোগ পাবে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো কিছু জানা যায়নি। বস্তুত ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হয়েছে। সেই মোতাবেক ২০১৬-র আবেদনকারীরা পরীক্ষা দিয়ে বাতিল চাকরি ফেরত ও তৎকালীন পরীক্ষার্থীদের লড়াইয়ে সুযোগ পাওয়ার কথা কিন্তু সেটা না করলে আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটতে পারে ২০১৬-র প্রার্থীরা। এটা যেমন একটা দিক তেমনি নিয়োগ ঘিরে রয়েছে কিছু বদল। বাতিল প্যানেলের ক্ষেত্রে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০১৬ অনুসারেই হওয়া উচিত বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এমনকি আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এই একি কথা বলেন।

স্কুলশিক্ষা দপ্তরের নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই বিধি নিয়ে ইতিমধ্যে নানা মহলে প্রশ্নও উঠেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক লেভেলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে বেশ কিছু বিষয়ে। ‘নন-টেন্টেড’ বা ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কিছুটা ‘বাড়তি সুবিধা’ দিতে স্কুলশিক্ষা দপ্তর অতীতে সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত এবং পোষিত স্কুলে স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকতার অভিজ্ঞতায় ১০ নম্বর বরাদ্দ করেছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রার্থীদের আগাম শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা দুই মিলিয়ে ২০ নম্বর যুক্ত হওয়ার পর ইন্টারভিউ তালিকা।

নানা মহলে প্রশ্ন, যারা চাকরি করেছে তারা অভিজ্ঞতায় ১০ পেয়ে গেলে বছরের পর বছর ধরে চাকরি না পাওয়া ফ্রেশার বা নতুন প্রার্থীরা কীভাবে এই ১০ নম্বর পূর্ণ করবে অর্থাৎ তাঁরা একপ্রকার পিছনে থেকেই যাবে। ফলে যারা ফ্রেশার তাদের জন্য এই অংশটা যথেষ্ট খারাপ বিষয়ের। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই সব ক্ষেত্রের ফলেই এই বিজ্ঞপ্তি যদি আদালতের কড়া নাড়ে তবে বিজ্ঞপ্তি বাতিল বা সংশোধনের জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে। ফলে সদ্য প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বাতিলের পথে কি পরিচালিত হবে? আদৌ কি ফ্রেশাররা সুযোগ পাবে? আদৌ কি এই বিজ্ঞপ্তিতে লড়াই করে কোনো সুবিধা পাবে নতুনরা? এই প্রশ্নের ঘোরপ্যাচে নতুন প্রার্থীরা একপ্রকার দ্বিধায় পড়ে গেছে।


কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বর্তমান বিজেপি বিধায়ক অভিজিৎ গাঙ্গুলী শিক্ষক অভিজ্ঞতা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, যারা চাকরি করেন তাঁরা এই ১০ নম্বর পাবেন অথচ বিজ্ঞপ্তি করা হয়েছে সব পরীক্ষার্থীর জন্য। যারা কোনোদিন চাকরি করেননি তাঁরা এই ১০ নম্বরে শূন্য। বছরের বছর শূন্যই থেকে যাবে। এটা কি ধরনের আইন হল? কেন করা হল? প্রশ্ন তোলেন তিনি।