কোথায় কোথায় মানা হয়নি সুপ্রিম নির্দেশ? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা

ssc notification


সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। ৩১শে মে-র মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই মতোই ৩০শে মে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা হয়েছে। চার অধিকর্তাকে পাঠানো হয়েছে আইনি নোটিস।

মনে করা হচ্ছে টিচিং এক্সপিরিয়েন্স যুক্ত করার ফলে যারা চাকরি পায়নি তাঁরা কিছুটা পিছিয়ে থাকবে‌। সুপ্রিম কোর্ট কখনই বলেনি, নতুন করে রুল তৈরি করে, শেষে ১০ নম্বর টিচিং এক্সপেরিয়েন্সের নম্বর দিতে। নতুন পরীক্ষার্থীরা এই অংশে পুরোপুরি শূ্ন্য। ফলে তাঁরা চাকরি পাবে কিনা সেটাই তো অনেক সন্দেহের বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, যাদের অভিজ্ঞতা আছে তাঁরা ১০ নম্বর বা যার যত সময় অভিজ্ঞতা সেই নম্বরে এগিয়ে থাকবে ফ্রেশাররা বা যারা চাকরি করেনি তাঁরা পিছিয়ে থাকবে।

২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকার ২০২৫-এ নতুন রুল নিয়ে এসেছে যা নির্দেশ অমান্য। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১৬সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া ওই সালেরই রুল অনুযায়ী করতে হবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে নয়া বিধিতে পরীক্ষা পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য বলে মনে করা হচ্ছে।

আগে ইন্টারভিউ লিস্ট তৈরি হত ৯০ নম্বরের ভিত্তিতে, বর্তমানে ইন্টারভিউ লিস্ট তৈরি হবে ৭০ নম্বরের ভিত্তিতে। আইনজীবী জানাচ্ছেন, আগে ১:১.৪ অনুপাতে ইন্টারভিউতে ডাকা হত, অর্থাৎ ১০০টি পদে ১৪০ জনকে ডাকা হত। এখন ১:১.৬ অনুপাতে ডাকা হবে। অর্থাৎ ১০০টি পদের জন্য ১৬০ জনকে। এটিও নিয়ম ভঙ্গ করেছে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 


নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যে মামলা হয়েছে সেই শুনানির দিকে তাঁকিয়ে সকলেই। শেষমেষ কি হয় সেটাই দেখার। বিশেষ করে ফ্রেশাররা অধীর অপেক্ষায় রয়েছে যে আসন্ন পরীক্ষায় তাঁরা বসতে পারবে কি না তার স্পষ্ট বার্তা পেতে।