মা নেই, বাবাই নির্ভরতার জায়গা, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের প্রথম শ্রীজিতা
বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর বাসিন্দা শ্রীজিতা। উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হতেই খুশির হাওয়া। রাজ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে শ্রীজিতা। মেয়েদের মধ্যে প্রথম। যে সময়ে মায়ের দেখাশোনায় বড় হতে হয় শিশুদের সেসময়ে মাকে হারিয়েছেন শ্রীজিতা। বাবার ছত্রছায়ায় বড় হতে হয়েছে। সেই মেয়ে আজ রাজ্য সেরা। বাঁকুড়ার সোনামুখী গার্লস হাই স্কুলের শ্রীজিতা ঘোষালের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪ (৯৮.৮ শতাংশ)।
ছোট থেকে পেশায় স্কুলশিক্ষক বাবা-ই নির্ভরতার জায়গা শ্রীজিতার। মা চলে যাওয়ার পর কোনও ঝড়ঝাপ্টার আঁচ আসতে দেননি মেয়ের উপর। মেয়ের সাফল্যে আপ্লুত বাবা বললেন, “বরাবরই পড়াশোনায় ভাল ও। কখনও আলাদা করে বলতে হয়নি। কিন্তু তাই বলে মেধাতালিকায় স্থান দখল করে নেবে, সেটা একেবারেই আশা করিনি।”
শ্রীজিতা জানায়, "ভাল ফল আশা করেছিলাম। মেধাতালিকায় স্থান পাব, এতটা ভাবিনি।” সে জানায়, "আমি পড়তে ভালবাসি। কিন্তু তাই বলে রুটিন মেনে পড়িনি। যেটুকু পড়তাম, বিষয়বস্তু বোঝার চেষ্টা করতাম।”
মাকে হারিয়ে বাবাই তার একমাত্র সঙ্গী। ওয়েব সিরিজ খুব পছন্দের। অবসরে গান শুনে আর ছবি এঁকেও মন হালকা করেন শ্রীজিতা। আপাতত, ইঞ্জিনিয়র হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চান শ্রীজিতা। পছন্দের বিষয় ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊