ভারতের সুদর্শনে ধ্বস্ত পাক, ধ্বংস লাহোরে রাডার সিস্টেম
বুধবার রাতে ভারতীয় বিমান বাহিনী 'S-400 সুদর্শন চক্র ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা' দিয়ে ভারতের দিকে আগত লক্ষ্যবস্তুগুলিকে ধ্বস্ত করে ভারত। সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুসারে, এস-৪০০ দ্বারা সমস্ত লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। একইসাথে ভারতীয় সেনাবাহিনী হার্পি ড্রোন দিয়ে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে এবং লাহোরে রাডার সিস্টেম ধ্বংস করে প্রতিশোধ নেয়।
S-400 বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হল এমন একটি ডিভাইসের নেটওয়ার্ক যা একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বিমান আক্রমণ মোকাবেলায় মোতায়েন করা হয়। এটি আকাশে শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি আকাশে যেকোনো সম্ভাব্য আক্রমণ ধ্বংস করতে সক্ষম।
চীন ও পাকিস্তানের হুমকির কথা মাথায় রেখেই S-400 ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। এর রেঞ্জ ৪০ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে। ২০১৮ সালে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় ভারত S-400 ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার তিনটি রেজিমেন্ট পেয়েছে। ভারত এখনও আরও দুটি রেজিমেন্ট পায়নি, তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেগুলি বিলম্বিত হয়েছে । তবে ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
S400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি রেজিমেন্টে আটটি লঞ্চার থাকে। তার মানে আটটি লঞ্চার ট্রাক আছে এবং প্রতিটি ট্রাকে চারটি করে লঞ্চার আছে। প্রতিটি লঞ্চার চারটি করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর মানে হল একটি রেজিমেন্ট যেকোনো সময় ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে পারে। এটি আকাশ থেকে আসা যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্রকে চোখের পলকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভুল বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলির মধ্যে একটি। বিশেষ বিষয় হলো, এটি যেকোনো এলাকা থেকে আসা যেকোনো পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। এর মাধ্যমে শত্রু অঞ্চলের ভেতরেও নজরদারি রাখা যাবে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটিকে ন্যাটো SA-21 গ্রোলার নামেও ডাকে। এটি মাইনাস ৫০ থেকে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাজ করার ক্ষমতা রাখে। এর ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করাও খুব কঠিন কারণ এর কোনও নির্দিষ্ট স্থান নেই। এটি সহজে সনাক্তও করা যায় না।
S400 ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য
- S400-তে চারটি রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এগুলো ৪০, ১০০, ২০০ এবং ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে যেকোনো শত্রুর অস্ত্র ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
- এটি ১০০ থেকে ৪০ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ন্ত প্রতিটি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
- এই সিস্টেমটি ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান বা ড্রোন থেকে যেকোনো ধরণের আক্রমণ মোকাবেলা করতে সক্ষম।
এদিকে পাকিস্তানের আক্রমণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করার পর, ভারতও পাকিস্তানের রাডার সিস্টেমকে লক্ষ্য করে উপযুক্ত জবাব দেয় এবং লাহোরে অবস্থিত রাডার সিস্টেমটি ধ্বংস করে দেয়। ভারত হার্পি ড্রোনের সাহায্যে পাকিস্তানি রাডার সিস্টেমকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। হার্পি ড্রোন তৈরি করেছে ইসরায়েলি কোম্পানি ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ। এটি একটি উন্নত শ্রেণীর লটারিং গোলাবারুদ ব্যবস্থা, যা বাতাসে ঘোরাফেরা করার সময় শত্রুর উপর নজর রাখে এবং সংকেত পাওয়ার সাথে সাথে তাকে ধ্বংস করে দেয়।
হার্পি ড্রোনের বিশেষত্ব হল এটি নজরদারির পাশাপাশি আক্রমণের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার ক্ষেত্রে এই ড্রোনের শক্তি বিশ্ব স্বীকার করে। এই ড্রোনটি একটানা ৯ ঘন্টা উড়তে পারে এবং এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত পরিসরে আক্রমণ করতে পারে। এই বিশেষত্বের কারণে, এই ড্রোনটি শত্রু দেশের গভীরে আক্রমণ করতে সক্ষম। এই ড্রোনটি ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল, ইনফ্রারেড এবং ফরোয়ার্ড-লুকিং ইনফ্রারেড সেন্সর দিয়ে সজ্জিত। এই ড্রোনটিতে নজরদারির জন্য একটি সিসিডি ক্যামেরাও রয়েছে এবং এটি রাডার এড়িয়ে যেতে সক্ষম।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊