বাতিল হওয়া চাকরীপ্রার্থীদের পুনরায় নিয়োগ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এসএসসি চেয়ারম্য়ান সিদ্ধার্থ মজুমদার
শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসি চেয়ারম্য়ান সিদ্ধার্থ মজুমদার। ইতিমধ্যেই রাজ্য তাঁদের দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
“রাজ্যের তরফে চিঠি পেয়েছি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই নিয়োগের কাজ শুরু হবে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ হবে।” তবে তিনমাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হবে কি না, সেই বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন খোদ এসএসসি চেয়ারম্য়ান।
আজ সাংবাদিক বৈঠক করে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ২৬ লক্ষ প্রার্থী। পরীক্ষায় বসেন প্রায় ২২ লক্ষ। এঁদের মধ্যে নবম–দশমের এক লক্ষ ৪১ হাজার এবং একাদশ–দ্বাদশের দেড় লক্ষ প্রার্থী রয়েছেন। তাই এত বড় নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয়। এটা একটা বড় প্রক্রিয়া।’
নতুন নিয়োগে কারা অংশ নেবেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা স্পষ্ট উল্লেখ করা নেই বলে জানান এসএসসি চেয়ারম্যান। এই বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেবে বলে আজ জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
এসএসসি’র চেয়ারম্যানের বক্তব্য, ‘অন্য চাকরি থেকে কেউ এসে থাকলে, সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে কিনা সেটা দেখতে হবে। যিনি চাকরিরত, এটা তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব। তিনিই পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন করবেন। প্রয়োজনে সুপারনিউমেরি (অতিরিক্ত) পদ তৈরি করা যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা নিয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেবে কমিশন।’
এসএসসি চেয়ারম্যানের কথায়, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দ্রুত যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া আমরা শুরু করি, সেই বার্তা সরকার থেকে এসেছে। দু’এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তার জন্য আমরা প্রস্তুত। আইনজীবীর সঙ্গে, সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের বয়সের ছাড় দেওয়া হবে। সরকার থেকে আমরা চিঠি পেয়েছি। অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে করব। কিন্তু তার আগে আইনি ছাড়পত্র নিতে হবে। বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট, সেটা মাথায় রাখা হবে।”’
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊