বাংলা-সিকিমের পরিবহন ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে পরিবহন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিশেষ বৈঠক শিলিগুড়িতে
বাংলা থেকে পর্যটকদের সিকিমে নিয়ে যাওয়া হোক কিংবা সিকিম থেকে আনা হোক পশ্চিমবঙ্গে, পর্যটকদের পরিবহনের ক্ষেত্রে একই নিয়ম কার্যকরী হবে দুইরাজ্যে। বাংলার গাড়ি সিকিমে কেবল হোটেল পর্যন্তই পর্যটকদের নামাতে পারবে, অপরদিকে সিকিমের গাড়ির ক্ষেত্রেও থাকবে একই নিয়ম। শিলিগুড়ির স্টেট গেস্ট হাউসে আয়োজিত পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের মধ্যে হওয়া পারস্পরিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনার পর এমনই জানান আধিকারিকেরা। সিকিমে যাতে, পর্যটকদের কোন হেনস্থার শিকার হতে না হয় সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করবে সিকিম পর্যটন দপ্তর।
এদিন পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে সিকিম পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পরিবহন দপ্তরের সম্পাদক সৌমিত্র মোহন, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, সিকিম পর্যটন দপ্তরের উপদেষ্টা মদন সিনচুড়ি সহ অন্যান্যরা।
এদিন এই বৈঠক শেষে চুক্তির বিষয়ে খোলসা করে মন্তব্য করতে চাননি মন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিবহনের ক্ষেত্রে যাতে দুই রাজ্যের মধ্যে কোন সমস্যা না হয় তা সুনিশ্চিত করা হবে। সমস্ত বিষয় নিয়ে এদিন প্রাথমিক ভাবে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও তিনি আরো জানান, শিলিগুড়ি শহরে যানজটের সমস্যা মোকাবেলা করার বিষয় নিয়েও এদিন আলোচনা হয়।
অন্যদিকে সিকিম পরিবহন দপ্তরের উপদেষ্টা মদন সিনচুড়ি জানান, ২০২২ সালে শেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেখানে নিয়ম ছিল স্থানীয় গাড়ি চালকদের কথা চিন্তা করে পর্যটকদের কেবল হোটেল পর্যন্ত ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। দুই রাজ্যের জন্যই একই নিয়ম কার্যকর হয়। সেই নিয়মই এবারও বহাল থাকবে। পাশাপাশি পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে দুই রাজ্যে গাড়ির সংখ্যা ৩০০০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫০০ করা হবে। এদিনের প্রাথমিক আলোচনায় এই বিষয়গুলি লিপিবদ্ধ করে সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তারপরই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊