'যাঁরা ওখানে আছেন তাঁদের অনেকেই হয়তো অযোগ্য' -শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
সোমবার সন্ধ্যায় ‘যোগ্য-অযোগ্য’ তালিকা প্রকাশের কথা ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র। আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের পরেও সেই তালিকা প্রকাশ হয়নি। বেশি রাতের দিকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে কমিশন। সেখানেও তালিকার বিষয়ে কিছু উল্লেখ ছিল না।
এসএসসি ভবনের ভিতরে সোমবার থেকে আটকে রয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার-সহ অন্য আধিকারিকেরা। সোমবার রাতে কমিশনের দফতরের ভিতরে খাবার প্রবেশ করতে দেননি আন্দোলনরত শিক্ষকদের একাংশ। মঙ্গলবার সকালেও চা প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে পরে আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা আচার্য সদন (এসএসসি ভবন)-এর ভিতরে খাবার প্রবেশ করতে দেবেন। সেই মতো বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ খাবার প্রবেশ করে এসএসসি ভবনে।
সোমবার বেশি রাতের দিকে এসএসসির বিবৃতিতে সন্তুষ্ট হননি আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। ঘেরাও করে রেখেছেন এসএসি ভবন (আচার্য সদন)। তাঁদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়াতে এসেছেন অনিকেত মাহাতো-সহ ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর প্রতিনিধিরাও। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে সোমবার রাতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের জন্য খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার সকালে আচার্য সদনের ভিতরে আটকে থাকা এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “বর্তমানে এই আন্দোলনে শুধু শিক্ষকেরা নেই। বাইরে থেকে আসা বহু আন্দোলনকারীও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।”
এদিকে সোমবার কমিশন বিবৃতি দেওয়ার পরে মুখ খোলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, “যাঁরা বঞ্চিত শিক্ষক, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো তাঁদের মাইনে পাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তাই এই আন্দোলনেরও কোনও মানে নেই। আর যাঁরা ওখানে আছেন (এসএসসি দফতরের সামনে বিক্ষোভকারী চাকরিহারারা), তাঁদের অনেকেই হয়তো অযোগ্য। তাঁদের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট কোনও গাইডলাইন না দিলে তো আমরা কিছু বলতে পারি না। আমরা দ্রুত রিভিউ পিটিশনের জন্য যাচ্ছি। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টই আমাদের গাইডলাইন দিয়ে দেবেন। আমরা যে ভাবে এগোচ্ছি, তাঁদের আস্থা রাখা উচিত। এ বার আস্থা রাখবেন কি রাখবেন না, সেটা তাঁদের ব্যাপার।’’
আজ কিছু সময় আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভিতর যে আটজন যোগ্য গ্রুপ C এবং গ্রুপ D প্রতিনিধি অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা জানান যে, ওই ঘরে এখন ইলেকট্রিকের কানেকশনও পাওয়া যাচ্ছে না। তারা একটা বার্তা দিয়েছেন যে, ইলেকট্রিক না থাকলে ফোন চার্জ না হলে তারা হয়তো আর কোন ভিডিও বার্তা দিতে পারবেন না।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊