গ্রন্থাগার মন্ত্রীর নিজের কেন্দ্রেই কর্মীর অভাবে বন্ধের মুখে পাঠাগার
সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান:-
গ্রন্থাগার মন্ত্রীর নিজের কেন্দ্রেই কর্মীর অভাবে বন্ধের মুখে পাঠাগার।চরম সমস্যায় বইপ্রেমীরা।বৃষ্টির জলে নষ্ট লক্ষ্য টাকার বই।বিডিও থেকে মন্ত্রী জানান হয়েছে সকলকে। মিলেছে শুধু আশ্বাস হয়নি কোনো কাজ।বললে অস্থায়ী কর্মীরা।
সকলের মধ্যে জ্ঞান ও শিক্ষার প্রসারের সুযোগ তৈরি করা এবং বই ও পাঠ্য সামগ্রীর সংগ্রহকে সার্বজনীন করার লক্ষ্যে ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতবর্ষে প্রথম গ্রন্থাগার (ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি) ।এরপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধীরে ধীরে তৈরি হতে থাকে গ্ৰন্থাগার বা লাইব্রেরি। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার প্রসার ঘটাতে আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে অর্থাৎ ১৩৬২ বঙ্গাব্দে মেমোরি ২ ব্লকের বড়পলাশন ২ পঞ্চায়েতের পাশেই তৈরি করা হয় বড়পলাশন নেতাজি পাঠাগার। একটা সময়ে বই পড়তে পাঠক পাঠিকাদের সংখ্যা ছিলো চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে লাইব্রেরিটি ঠিকমতো খোলা না থাকায় পাঠকের সংখ্যা শুন্য।
বছর কয়েক আগেও লাইব্রেরীতে বসে বই পড়তে পারলেও বর্তমানে ভগ্ন লাইব্রেরীতে কাজ করতে ভয়ে কাঁপেন কর্মীরা। বেহাল লাইব্রেরির ছাদের চাঙ্গর খসে পড়ছে জল। ভেন্টিলেটর দিয়ে ঢুকছে সাপ। নিজেদের বাসস্থান বানাতে বাসা বেঁধেছে উইপোকা। এখানেই শেষ নয় বৃষ্টির জলে স্যাতসেতে মেঝেতে নষ্ট হচ্ছে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার বই।বিল না মেটানো তে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।দেওয়ালে ধরেছে ফাটল। ভ্যাপসা গন্ধে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় বৃদ্ধ দুই অস্থায়ী কর্মীর।এতো কিছুর পরেও বই কে ভালো বাসার কারনে প্রানের ঝুঁকি নিয়ে আগলে রেখেছেন পাঠাগারটিকে।গ্রন্থাগারটিকে স্বচ্ছলভাবে চালাতে আবেদন করা হয়েছে বিডিও থেকে মন্ত্রী কে। শুধুই মিলেছে গালভড়া আশ্বাস।
মেমোরি ২ ব্লকের বড়পলাশন নেতাজি পাঠাগারের অস্থায়ী কর্মীরা বলেন এলাকার মানুষদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে এবং স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার সুযোগ সুবিধার জন্য আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে অর্থাৎ ১৩৬২ বঙ্গাব্দে মেমোরি ২ ব্লকের বড়পলাশন ২ পঞ্চায়েতের পাশেই তৈরি করা হয় বড়পলাশন নেতাজি পাঠাগার। এই পাঠাগারে বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের বই এর পাশাপাশি,পাওয়া যায় নানা ধরনের গল্পের বই, নাটক,যাত্রা,সহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা মূলক বই। একটা সময়ে লাইব্রেরীতে পাঠক পাঠিকাদের সংখ্যা ছিল অনেক। বর্তমানে কর্মীর অভাবে লাইব্রেরীটি ঠিকমতো খোলা না থাকার ফলে পাঠকের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। বেহাল এই লাইব্রেরীর হাল ফেরাতে বিডিও থেকে স্থানীয় এমএলএ অর্থাৎ গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে বারংবার জানানো হয়েছে।তাদের পক্ষ থেকে শুধু আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। বড়পলাশন ২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান খুকুমণি দাস ও উপ প্রধান সেখ ইউসুফ আলী বলেন বিষটি নজরে আছে মন্ত্রীকে জানান হয়ে। খুব শিঘ্রই এটি সংস্কার করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊