কেউ অশান্তি করতে এলে আটকান, সংখ্যালঘুদের আর কি বার্তা মমতার?

Mamata banerjee


নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম এবং মোয়াজ্জেমদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়াকফ ইস্যুতে সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নিশানা কেন্দ্রকে। শিক্ষকদের প্যানেল বাতিল থেকে মুর্শিদাবাদে অশান্তি, সবকিছু একযোগে নিয়ে কেন্দ্রকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'অশান্তিতে বাংলাদেশের হাত থাকলে, তার জন্য কে দায়ী? এর জন্য পুরোপুরি কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী'। কেন্দ্রকে বললেন, 'ভাগ না করে, বিজেপি ভারতকে জোড়ো'। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘আমি উস্কানিমূলক কথা বলতে আসিনি।’ বলেন, 'আমার যেমন যে কোনও মানুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে অধিকার নেই। তেমন আপনারও অধিকার নেই কারও ব্যক্তিগত বা ধর্মীয় সম্পত্তি অধিকার করা।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বিজেপি আক্রমণ করে বলেন, সংবিধানকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে, অম্বেডকরের তৈরি সংবিধান মানা হচ্ছে না। সরাসরি বিজেপিকে দুষে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'বিজেপি ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে, ফেক ভিডিও দেখাচ্ছে। বাংলার কথা বলে, অন্য রাজ্যের ভিডিও দেখানো হচ্ছে'।

মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, বিজেপির কথায় উত্তেজিত হয়ে কেউ অশান্তি করতে এলে, ঠেকান'। প্রশ্ন তুললেন, 'তাড়াহুড়ো করে ওয়াকফ আইন পাস করানো হল কেন?'

রাজ্যের সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে শান্ত থাকার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা শান্ত থাকুন। বি কুল অ্যান্ড পিসফুল।’’ ইমাম-মোয়াজ্জিমদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘আপনাদের হাতজোড় করে বলছি, কেউ অশান্তি করতে চাইলে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করুন। অশান্তি করতে দেবেন না। ধর্মীয় জায়গা থেকে আপনারা শান্তির আবেদন জানান।’’ মমতা বলেন, ‘‘এটা আমার ব্যক্তিগত আবেদন। চেয়ারের আবেদনও বলতে পারেন।’’

ঈদের পর ঈদ মিলন উৎসবের জন্য এই সম্মেলন আগে থেকে নির্ধারিত ছিল। ৭টি এপ্রিল এই সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও পরে তারিখ পরিবর্তন হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আমন্ত্রিত’ হিসাবেই তিনি গিয়েছিলেন ওই সম্মেলনে। মমতা স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছেন, তিনি বা রাজ্য সরকার ইমাম-মোয়াজ্জিমদের ডাকেননি। বরং তাঁদের ডাকেই তিনি গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোরে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও।