'..সরকার চাইলে দাঙ্গা হয়'! ব্রিগেড থেকে মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা সেলিমের 

Salim


বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুললেন মহম্মদ সেলিম। এদিন বুদ্ধদেব-জ্যোতি বাবুকে টেনে দাঙ্গা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস, রাজ্যের প্রশাসনের মুরোদ নেই, এই দাঙ্গাবাজদের আটকাবে। তাঁর জন্য লাল ঝাণ্ডাকে মজবুত করতে হবে। ডাণ্ডাগুলিকে একটু মোটা করতে হবে। তবে আমরা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ভাষায় বলতে পারব, এরাজ্যে যারা দাঙ্গা করতে আসবে, মাথা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে। এটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই সাহস করতে পারেন না। দাঙ্গা কেন হয় ? এই বাংলার বুকে জ্যোতি বসু বলেছিলেন, সরকার চাইলে দাঙ্গা হয়। আর সরকার না চাইলে দাঙ্গা হয় না।'

এদিন তিনি তৃণমূল - বিজেপিকে একসঙ্গে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, 'বিজেপি-তৃণমূল খেটে খাওয়া মানুষের ঐক্যে ফাটল ধরাচ্ছে। মুর্শিদাবাদ, মালদায় যে ঘটনা ঘটল, রামনবমী-হনুমানজয়ন্তী করছে তৃণমূল-বিজেপি। বিজেপি-তৃণমূলের নেতারা প্রতিদিন নাটক করছে, ওদের স্ক্রিপ্ট লিখে দিয়েছেন মোহন ভাগবত। বিরোধী দলের নেতা তৃণমূলের সাজানো, আজ মহান সাজতে চাইছে বিরোধী দলের নেতা। প্রতিদিন হিন্দু-মুসলমানকে লড়ানোর চেষ্টা করছে ঘৃণাভাষণের মাধ্যমে, কেন একটিও মামলা করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'।

মুর্শিদাবাদে অশান্তি নিয়ে ব্রিগেড থেকে এভাবেই বিজেপি-তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ মহম্মদ সেলিমের। দলের শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর এবং বস্তি সংগঠনের ব্যানারে রবিবার ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছিল সিপিএম। রবি-ব্রিগেডে ভিড় খারাপ হয়নি। এবং সেই ভিড়ের সমবেত প্রতিধ্বনি সবচেয়ে বেশি উঠল ‘নতুন’ কন্যা বন্যার বক্তৃতাতেই। তিনি হুগলির আদিবাসী নেত্রী বন্যা টুডু।