কোচবিহারে অনুষ্ঠিত হল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের চতুর্দশ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন

কোচবিহারে অনুষ্ঠিত হল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের চতুর্দশ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন


নিজস্ব সংবাদদাতা, তপন বর্মন

আজ কোচবিহার জেলার মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থিব বসু মঞ্চে পশ্চিম বঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের চতুর্দশ ত্রিবার্ষিক জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। জেলার মোট দশটি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সদস্যগন এই সম্মেলনে যোগ্য দেন। আজ সকালে বিজ্ঞান মঞ্চের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন হয়।

বিজ্ঞান গণতান্ত্রিক, বিজ্ঞান ধর্ম নিরপেক্ষ, বিজ্ঞান আন্তর্জাতিক এবং বিজ্ঞান সার্বজনীন এই লক্ষ্যে পৌঁছে দিতেই বদ্ধ পরিকর পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ।

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ রাজ্য কমিটির কার্যকারী সভাপতি অধ্যাপক ড. সত্যজিৎ চক্রবর্তী জানান- "বিজ্ঞান প্রযুক্তির সুফল মানুষের কাছে পৌছে দিতে, নিরক্ষরতা দূরীকরণে জন বিজ্ঞান আন্দোলন প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে মানবজাতি অস্তিত্বের সংকটে। বিজ্ঞান চেতনার অভাব নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য । যার ফলে ঘটছে আবহাওয়ার পরিবর্তন। এই অবস্থায় মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনার বিস্তার ঘটানো জরুরী। যদিও দুর্ভাগ্য তরুণ প্রজন্ম বিজ্ঞানের পাঠ নেওয়ার প্রতি অনীহা বিজ্ঞান চেতনার প্রসারের ক্ষেত্রে কিছুটা অন্তরায় হয়ে পড়েছে। "

কোচবিহার জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক অসীম সাহা জানান "মানুষের কাছে বিজ্ঞান পৌঁছে দিতে হবে। কোচবিহার জেলার ১০ টি বিজ্ঞান কেন্দ্র আগামী দিনে সক্রিয় ভাবে কাজ করবে এবং জন বিজ্ঞান আন্দোলন একটা ভিন্ন মাত্রা পাবে আমরা আশাবাদী।"

আজকের এই বিজ্ঞান সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলার দশটি বিজ্ঞান কেন্দ্রোর সদস্যরা। এই বিজ্ঞান কেন্দ্র গুলি হল

কোচবিহার সদর উত্তর বিজ্ঞান কেন্দ্র, কোচবিহার দক্ষিণ বিজ্ঞান কেন্দ্র, দিনহাটা বিজ্ঞান কেন্দ্র, দিনহাটা পি সি রায় বিজ্ঞান কেন্দ্র, মাথাভাঙ্গা বিজ্ঞান কেন্দ্র, মেখলিগঞ্জ বিজ্ঞান কেন্দ্র, জামালদা বিজ্ঞান কেন্দ্র, তুফান গঞ্জ বিজ্ঞান কেন্দ্র, বক্সিরহাট বিজ্ঞান কেন্দ্র, এবং নিশিগঞ্জ বিজ্ঞান কেন্দ্র।

এদিন এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে বিজ্ঞানের মডেল প্রতিযোগিতা, বসে আঁকো প্রতিযোগিতায়, প্রবন্ধ রচনা প্রতিযোগিতায় সহ হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা এবং বিজ্ঞান আলোচনা ও বিজ্ঞানের পুস্তক প্রদশর্নী অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা এতে অংশ নেয়।

বর্তমানে ৩৩ কোটি ভারতবাসী নিরক্ষর।এই নিরক্ষরতা একটি অভিশাপ। তার জন্য জন বিজ্ঞান আন্দোলন জরুরী। বিজ্ঞান কর্মীদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষকে ভালোবেসে বিজ্ঞানের সুতোয় বাঁধতে হবে। বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে ,মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা, যুক্তিবাদ ও মুক্তি চিন্তার প্রসার ঘটাত হবে। আর এর জন্য এই বিজ্ঞান মঞ্চ যে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে চলছে তা বলতেই হয়।