সীমান্তে আবারো ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশের নাগরিকের মধ্যে ঝামেলা

সীমান্তে আবারো ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশের নাগরিকের মধ্যে ঝামেলা


সীমান্তে আবারো ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশের নাগরিকের মধ্যে ঝামেলা। ভারতীয় নাগরিককে মারধর এবং তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই সাথে সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয়দের কৃষি জমি থেকে অবাধে লুটপাট এবং চাষের কাজে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক মোটর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে। আর সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে জানার পরেও উদাসীন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী অর্থাৎ বিএসএফ। এমনটাই গুরুতর অভিযোগ তুলে বিএসএফের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। 

আর মন্ত্রীর পোস্টের পরেই দিনহাটা দুই নং ব্লকের নাজিরহাট ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং বিজিবির সাথে বৈঠক করলেন দিনহাটা ২ নং ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিক নীতিশ তামাং, দিনহাটা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধিমান মিত্র।


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ গত ২১ তারিখে দিনহাটা ২ নং ব্লকের নাজিরহাট ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের নোটাফেলা এলাকায় বিএসএফের ১২ নম্বর গেট দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে বেশ কিছু বাংলাদেশি নাগরিক এবং তারা ভারতীয় নাগরিকদের কৃষি জমিতে তুলে রাখা আলুর বস্তা অবাধে লুটপাট করে নিয়ে যায়। সেই নিয়ে ভারতীয় নাগরিকরা প্রতিবাদ করলে আজ পুনরায় বাংলাদেশী নাগরিকেরা একজোট হয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এবং জমিতে ব্যবহার করা জলের পাম্পে আগুন লাগিয়ে দেয় সেই সাথে বেশ কিছু ভারতীয় চাষীকে মারধর করে এবং কান্দুরা বর্মন নামের একজন চাষীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। 

পরবর্তীতে গ্রামবাসীদের সমবেত প্রতিরোধের ফলে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। গ্রামবাসীদের আরো অভিযোগ এই সমস্ত ঘটনা পর তারা স্থানীয় ১৬২ নম্বর বিএসএফকে জানালে বিএসএফ কোনরকম ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে তারা মন্ত্রীকে ফোন করে এবং মন্ত্রী প্রশাসনিকভাবে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেয়। আর সেই মতোই আজ নাজিরহাট ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই এলাকায় পুলিশ আধিকারিক এবং ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকের উপস্থিতিতে বিএসএফ এবং বিজিবিকে নিয়ে উচ্চপর্যায়ের মিটিং হয়। 

মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে নাম শোনার পর বিএসএফের পক্ষ থেকে বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে দুষ্কৃতিদের নামের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষী বাহিনী আশ্বাস দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেবে। 

অপরদিকে বিডিও নীতিশ তামাংও বলেন এলাকায় সরে জমিনে এসে স্থানীয়দের অভিযোগ শোনা হলো এবং প্রয়োজনীয় যা পদক্ষেপ নেওয়ার সেটা নেওয়া হবে। একই সাথে আজ সকালেই মন্ত্রী উদয়ন গুহ সমস্ত ঘটনা নিয়ে বিএসএফকে দায়ী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সীমান্তে পুনরায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।