কোচবিহারে প্রথম চিয়া সিড চাষ, পরিদর্শন করলেন শ্রদ্ধা ফারমার্স প্রোডিউসার কোম্পানির



গ্রামীণ কৃষকদেরকে প্রথাগত চাষের পাশাপাশি উচ্চ আর্থিক মূল্য পাওয়া যায় এমন ফসল ও আধুনিক কৃষিবিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতন করতে শ্রদ্ধা ফারমার্স প্রোডিউসার কোম্পানির উদ্যোগে আয়োজিত একটি কৃষক সভা অনুষ্ঠিত হয় তুফানগঞ্জ এক নং ব্লকের বলরামপুর দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েত এর কামাত শেওড়াগুড়ি এলাকায়। 



উপস্থিত ছিলেন এডিশনাল ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার (উত্তরবঙ্গ )শুভেন্দু মণ্ডল, কোচবিহার জেলার ডেপুটি ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার(প্রশাসন) অসিত বরণ মণ্ডল, তুফানগঞ্জ এক নং ব্লক কৃষি অধিকরণের ব্লক টেকনোলোজি মেনেজার সঞ্জয় সাহা, শিক্ষক সৈকত সরকার সহ এলাকার প্রায় ত্রিশ জন কৃষক।কৃষক সভার পাশাপাশি স্থানীয় প্রগ্রেসিভ কৃষকদের জমিতে চাষ করা চিয়া সিড চাষের জমিতেও তারা পরিদর্শন করেন।কোচবিহার জেলায় এই চিয়া সিড চাষ এই প্রথম করা হচ্ছে বলে শ্রদ্ধা ফারমার্স প্রোডিউসার কোম্পানির পক্ষ থেকে জানা গেছে। নতুন ধরণের ফসল চাষের এই উদ্যোগকে রাজ্য ও জেলা স্তরের অধিকারিকগণ সাধুবাদ জানান। 



ব্লক কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে এদিন রঞ্জিত কার্জি সহ আরো একজন কৃষককে আতমা প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করা হয়। কৃষি দপ্তরের অধিকারিকগণকে এভাবে নিজেদের প্রত্যন্ত গ্রামের এলাকায় কাছে পেয়ে স্বভাবতোই খুব খুশী কৃষকরা। স্থানীয় কৃষক ভবেশ বর্মন, টোটন বর্মন জানান, তারা আগামীতে এই চাষের সাথে সাথে মিলেট ও ঔষধি গাছের চাষ করবেন এবং আরো কৃষকের কাছে অধিকারিকগনের প্রদান করা বার্তা পৌঁছে দেবেন।

ইতিমধ্যেই চিয়া সিড সুপারফুড হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কোচবিহার জেলায় চাষ না হলেও এই জেলার মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করে খাচ্ছেন। চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅকসিডেন্ট, ওমেগা -3,omega-6 সহ আরো অনেক খনিজ। সামান্য চিয়া সিড আপনার শরীরকে অনেক প্রাণবন্ত করে তুলতে সাহায্য করে।জেলায় চিয়া সিড চাষ করার ফলে জেলার কৃষকরা যেমন tub লাভবান হবেন, তেমনি অনলাইনের থেকেও কিছুটা কম মূল্যে মানুষ কিনতে পারবে বলেই মনে করেন কৃষি বিশেষজ্ঞগণ।


স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ আজকাল হামলে পড়ে 'চীয়া সিড' খাচ্ছে। কেউ খাচ্ছে শরীরের মেদ কমাতে, কেউ খাচ্ছে রক্তের শর্করা কমাতে বা অন্য কারণে। এই চীয়া বীজের চাষ ও তার ব্যবহার সেই সভ্যতার সময় থেকে চলে আসছে। দক্ষিণ আমেরিকা, ইয়োরোপ পেরিয়ে চীয়া বীজের চাষ ভারতে পৌঁছেছে। পুদিনা জাতীয় এই গাছটির চাষ হচ্ছে আমাদের জেলায়।বৈজ্ঞানিক নাম সালভিয়া হিসপানিকা।