বালি মাফিয়ার দৌলতে হাহাকার বিস্তীর্ণ বুড়া ধরলা নদী চত্বর
দিনহাটা:
দিনে দুপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনহাটা এক নং ব্লকের মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বুড়া ধরলা নদী থেকে অবৈধ উপায়ে বালি উত্তোলন। বালি মাফিয়ার দৌলতে হাহাকার বিস্তীর্ণ বুড়া ধরলা নদী চত্বর। শুধু নদী চত্বর থেকে অবৈধ উপায়ে বালি উত্তোলন নয় অবৈধ বালু নিয়ে আসার জন্য নদীর পাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে সুবিধামতো রাস্তা।
আর সেই বালি, দিনে দুপুরে নদী থেকে উঠিয়ে পাচার হচ্ছে দিনহাটা শহর এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। অথচ ঘটনায় হেলদোল নেই ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর থেকে শুরু করে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রশাসনের। নদীতে বালি উত্তোলনের কাজে কর্মরত এক শ্রমিক জানান প্রায় প্রত্যেকদিন নদী থেকে ঢিবি করে বেশ কয়েকটি ট্রাক্টরের ট্রলি বালি নিয়ে ছুটে দিনহাটা শহর থেকে শুরু করে শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায়। আর সেখানে চড়া দামে বিক্রি হয় অবৈধ উপায়ে উত্তোলিত সেই বালি।
যদিও ওই শ্রমিকের কথায় নদী থেকে যে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে সেগুলি সবটাই সরকারি নিয়ম মেনে করা হচ্ছে কিন্তু দিনহাটা এক নং ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেভিনিউ অফিসার সনৎ রায় জানান নদীর বালি তোলার ক্ষেত্রে কোনো রকম রয়্যালটি হয় না। যা তোলা হচ্ছে সবটাই অবৈধ উপায়ে,আমরা এ ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে অভিযান চালিয়ে আসছি এবং ভবিষ্যতেও অভিযান চালাবো।
অপরদিকে মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মানবেন্দ্র নাথ রায় বলেন নদী থেকে বালি তোলার বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখব। তবে গ্রামবাসীদের কথায় এবারেই প্রথম নয় প্রত্যেক বছর এই নদী থেকে অবৈধ উপায়ে তোলা হয় বালি, আর তাতে যোগসাজেশ থাকে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্মচারী থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কর্মচারী এবং জনপ্রতিনিধি সকলেই। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা এভাবে বালি উত্তোলনের ফলে বর্ষায় নদী তার স্বাভাবিক চলার পথ হারিয়ে প্লাবিত করবে? বিস্তীর্ণ জনপথ আর তার মাশুল গুনতে হবে গোটা গ্রামের বাসিন্দাদের।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊