সুপ্রিমকোর্টে ঝুলেই রইল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যত! 


Supreme Court


প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি থাকবে কি না সেদিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা রাজ্য। আজ ছিল সুপ্রিমকোর্টে শুনানি। কিন্তু শুনানি শেষ হল না। পরবর্তী তারিখ জানিয়ে দিল আদালত। ফলে আপাতত প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা ঝুলেই রইল আদালতে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে চলে শুনানি। পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি। ওই দিনই শুনানি শেষ করতে চান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।

এদিন দেশের শীর্ষ আদালত জানতে চায় যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব কি না? সকল পক্ষে সওয়াল শোনার পর প্রধান বিচারপতি ৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হলে আইনজীবী সরস্বতী পূজার কথা উল্লেখ করলে মামলা ১০ই ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন।

শুনানি পর্বে একাধিক বিষয় তুলে ধরেন বিকাশরঞ্জন। তাঁর প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিত প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'আপনি বলতে চাইছেন পরীক্ষা না দিয়েই চাকরি পেয়েছে।' এর উত্তরে বিকাশরঞ্জনের সওয়াল, 'মন্ত্রীর মেয়ে এভাবেই চাকরি পেয়েছিলেন, কোর্ট টাকা ফেরাতে বলেছিল।'

পরিষ্কার বক্তব্য, 'এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। এই দুর্নীতি এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে কেউ অবৈধ নিয়োগ খুঁজে বার করতে না পারে। হাইকোর্টে কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য এটা বার করা সম্ভব হয়নি। এমনভাবেই দুর্নীতি হয়েছে যাতে কতজন পরীক্ষার্থী অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন এটা বার করা সম্ভব হয়নি।' 'মন্ত্রীর থেকে সোনা ও গয়না ছাড়াও ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল', বলে আদালতে সওয়াল করেন বিকাশ ভট্টাচার্য।

সন্দেহ থাকলে পুরো প্যানেল বাতিল করে নতুন ভাবে নিয়োগ করা উচিত সওয়াল করেন বিকাশ। প্রধান বিচারপতি বলেন, 'নতুনভাবে নিয়োগ মানে অনেক জটিলতা।' তাতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'পুরো প্যানেল বাতিল করে যাঁরা ২০১৬-য় এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন, তাঁদেরই শুধুমাত্র পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিয়ে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হোক।'

সওয়াল জবাবের পর নয়া তারিখ জানায় আদালত। ২৬ হাজার চাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যত জানতে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।