India Bangladesh Border Tension: সীমান্তে কাঁটাতার নিয়ে কড়া অবস্থান ভারতের

India Bangladesh Border Tension



ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্তে বেড়া দেওয়া নিয়ে বিরোধ আরও গভীর হচ্ছে। মালদহের বৈষ্ণবনগরের সুকদেবপুর এলাকায় বেড়ার কাজ বন্ধে বাংলাদেশের উদ্যোগে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশের ডেপুটি আর্চেঞ্জেল নুরুল ইসলামকে তলব করেছে ভারত। এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন বাংলাদেশ একদিন আগে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ডেকে সীমান্তে অপরাধ বন্ধে সহযোগিতামূলক পন্থা অবলম্বনের কথা বলেছিল।


ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে সীমান্তে নিরাপত্তার জন্য বেড়া দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্তে বেড়া দেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তি করেছি। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বিএসএফ ও বিজিবির নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আমরা আশা করি এই চুক্তি বাস্তবায়িত হবে এবং সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে একটি সহযোগিতামূলক পন্থা অবলম্বন করা হবে।


অন্যদিকে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এই উত্তেজনার জন্য এর আগের সরকারকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে করা কিছু অসম চুক্তি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নানা জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এসব চুক্তির কারণেই আজ দুই দেশই সীমান্তে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।


গত সপ্তাহে মালদহের সুকদেবপুর এলাকায় কাঁটাতারের সিঙ্গেল লাইন বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করেছে বিএসএফ। তবে এতে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। বিজিবি বলছে, এ কাজ সীমান্তের কাছে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করছে। এ আপত্তির কারণে বন্ধ হয়ে যায় বেড়ার কাজ। বুধবার কিছু সময়ের জন্য এ কাজ আবার শুরু হয়। কিন্তু দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর তা আবার বন্ধ হয়ে যায়।


ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা ইস্যু দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে বিরোধের কারণ হয়ে আসছে। চোরাচালান, মানব পাচার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের মতো সমস্যা এই এলাকায় সাধারণ। ভারত বলছে, এসব সমস্যা বন্ধ করতে সীমান্তে বেড়া দেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সহযোগিতা না করে বাংলাদেশ আপত্তি জানিয়ে আসছে।


ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস করা হবে না। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন যে অপরাধ প্রতিরোধ এবং সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ রোধে বেড়া দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে হবে।


সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে ভারত বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, বেড়ার কাজে বাধা দিতে থাকলে তা দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব পড়বে।