আন্তর্জাতিক বোলপুর শহরে টোটো অ্যাপ চালু
আন্তর্জাতিক বোলপুর শহরে এবারে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই মিলবে টোটোও। সঠিক ভাড়ায় যেমন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন সকলে। তেমনই এতে উন্নত হবে বোলপুর-শান্তিনিকেতনের পরিবহন ব্যবস্থাও। আর এই অ্যাপের মাধ্যমেই এলাকায় চলাচলকারী সব টোটোকে যুক্ত করা হবে বলেই জানা যায়।
অ্যাপ ক্যাবের মতই ফোন থেকে বুকিং করা যাবে এই টোটোর। যাঁরা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন না, তাঁরা নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করেও টোটো বুক করতে পারবেন। কলকাতা বা বড় শহরের রাস্তায় চলা ‘ওলা’, ‘উবের’-র মতো অ্যাপের সাথে পরিচিত নন, এমন মানুষ পাওয়া এখন দুষ্কর। আর এই অ্যাপের মাধ্যমে ‘টোটো’র বুকিং, দূর-দূরান্তের দেশ-বিদেশের পর্যটকদের জন্য বিশেষ সুবিধার পৌঁছে দিতে বিশেষ পরিকল্পনার উদ্যোক্তা বিশ্বভারতী প্রাক্তন পড়ুয়াদের।
বর্তমানে বোলপুরে টোটোর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের বেশি। ফলে দিন দিন বাড়ছে যানজট। যা নিয়েও সাধারণ মানুষকে প্রতিমুহূর্তে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। কিন্তু তাঁর থেকেও বড় সমস্যা টোটোর লাগামহীন ভাড়া বৃদ্ধি। প্রথমদিকে টোটো ইউনিয়ন বিভিন্ন রুটের দূরত্ব অনুযায়ী একটি রেট তালিকা তৈরি করে। পরে তা বোলপুর পুরসভা ও পুলিস প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে তা কার্যকরও করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সেই রেট তালিকা না মেনে বেশি ভাড়া নেওয়া হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকদের। এমনকী, পর্যটকরা দূরত্বের বিষয়ে অবগত না থাকায় তাঁদের সঙ্গেও প্রায়ই প্রতারণা করা হয় বলেই অভিযোগ। অতিরিক্ত ভাড়ার খপ্পরে ক্ষুব্ধ যাত্রীরাও। সরকারিভাবে ভাড়া নির্দিষ্ট না করার জন্য ভাড়া নিয়ে টোটোচালক-পর্যটক বচসা নিয়মে পরিণত হয়েছে।
পাশাপাশি পর্যটকদের আধিক্য বাড়ায় টোটো পাওয়া প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। অথচ শান্তিনিকেতন-বোলপুর জুড়ে ঘিরে থাকা ২৩-২৪টি পর্যটনস্থল ঘুরে দেখার জন্য টোটো ছাড়া অন্য কোনও সুলভ ব্যবস্থা নেই। আর সেই কারনেই এই ‘টোটোওয়ালা’ অ্যাপের ভাবনা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊