বাড়িতে পোষ্য কুকুর রয়েছে? জাকিয়ে শীত পড়ার আগেই সাবধান হয়ে যান
বাড়িতে পোষ্য কুকুর রয়েছে? জাকিয়ে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাবধান হয়ে যান। তা না হলে এই শীতে প্রিয় পোষ্যকে হারাতে হতে পারে। তাই এই সময় পোষ্যদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। কি কি করবেন রইল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।
আজকাল অনেকের বাড়িতেই পোষ্য পুকুর রয়েছে। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে ঠিক মত স্নান করানো এসব দিকে খেয়াল রাখলেও শীতে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। কারণ, তীব্র শীতে মারণ ভাইরাস ডিসটেম্পার - এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে দ্বিগুণ। সঠিক যত্ন না নিলে হারাতে হতে পারে প্রিয় পোষ্যকে।
জলপাইগুড়ি পশু হাসপাতালের বিশিষ্ট পশু চিকিৎসকের কথায়, ডিস্টেম্পার ভাইরাসে বাড়ির পোষ্য আক্রান্ত হলে তার প্রথম উপসর্গ, সাধারণত তাদের চোখ থেকে পুঁজের মতো স্রাব, জ্বর, ক্ষুধা হ্রাস এবং পরিষ্কার নাসাল স্রাব হতে পারে। সংক্রমণের প্রায় ৩ থেকে ৬ দিন পরে কুকুরে জ্বর দেখা দিতে শুরু করে। অন্যান্য উপসর্গগুলির মধ্যে শ্বাসকষ্ট, কাশি, মুখের স্ফীতিভাব, মাংসপেশীর কমজোরি এবং ত্বকের ফুসকুড়ি দেখা যেতে পারে। এই ভাইরাসটি সাধারণত আক্রান্ত কুকুরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়ায়, বিশেষ করে তাদের শরীরের তরল যেমন চোখের জল, নাকের স্রাব, বা থুতু থেকে। ভাইরাসটি বাতাসে ভেসে থেকেও ছড়াতে পারে, তাই কোনও সংক্রামিত কুকুরের কাছাকাছি থাকা বা তাদের স্পর্শ করা থেকেও সাবধান থাকতে হবে।
এই রোগ প্রতিরোধের উপায় কি? চিকিৎসকের পরামর্শ , ডিস্টেম্পারের সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধের উপায় হল টিকা। কুকুরকে তাদের বয়স অনুযায়ী নিয়মিত ভ্যাকসিনেশন করানো উচিত। এছাড়া, আক্রান্ত কুকুরের কাছাকাছি যাওয়া বা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে বিরত থাকা উচিত। এরই সঙ্গে বাড়তি সুরক্ষা হিসেবে পোষ্যদের থাকার জায়গা উষ্ণ, শুকনো ও সুরক্ষিত রাখুন। শীতে গরম কম্বল বা পশমের বিছানা ব্যবহার করতে দিন। ঠাণ্ডা বাতাস থেকে তাদের রক্ষা করতে ঘরের দরজা-জানালা ঠিকমতো বন্ধ রাখুন।পোষ্যদের থাকার জায়গা ও তাদের ব্যবহৃত জিনিসগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন। মাটি বা নোংরা জায়গায় যেন তারা কম সময় কাটায়, তা নিশ্চিত করা অবশ্যই জরুরি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊