রবিবারও পাঞ্জাব ও হরিয়ানার শম্ভু সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়। পূর্বে ঘোষিত কর্মসূচী অনুসারে কৃষকরা এদিন দুপুর ১২টায় দিল্লির দিকে মিছিল করেন। ১০১ জন কৃষকের একটি দলকে হরিয়ানা পুলিশ বাধা দেওয়ায় উত্তেজনা তৈরি হয়।
গতবারের মতো এবারও দিল্লি পুলিশের কাছে কৃষকদের অনুমতি চেয়েছে হরিয়ানা পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশ একটি তালিকা দেখায়, যেখানে দিল্লিতে যাওয়া ১০১ জন কৃষকের নাম ছিল। তালিকায় যাদের নাম আছে তারা আইডি কার্ড দেখিয়ে এগিয়ে যেতে পারবেন বলে জানায় হরিয়ানা পুলিশ।
পুলিশ বলেছে যে আমরা প্রথমে কৃষকদের চিহ্নিত করব তারপর তাদের এগিয়ে যেতে দেব। আমাদের কাছে ১০১ জন কৃষকের নামের তালিকা রয়েছে, এবং তারা সেই লোক নয়। তারা আমাদের নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে না।
তবে গত শুক্রবারের থেকে আলাদা ভূমিকা ছিল আজ। রবিবার হরিয়ানা পুলিশের মনোভাব কিছুটা নরম দেখা যায়। পুলিশ ব্যারিকেডের কাছে পৌঁছানো কৃষকদের চা-বিস্কুট দেয়। কিন্তু এর পর এক কৃষক ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ কৃষকদের তাড়িয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।
কাঁদানে গ্যাসের হামলায় পাঁচ কৃষক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিকেইউ বিপ্লবী রেশম সিং, মেজর সিং, কিষান মজদুর সংগ্রাম সমিতি পাঞ্জাব, দিলওয়াগ সিং গিল, বিকেএমওয়াই পাঞ্জাব এবং কার্নাইল সিং লুং, বিকেইউ একতা আজাদ দলের প্রতিনিধি। এদের সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কাঁদানে গ্যাসের শেল ছাড়ার পর কৃষকরা আবার ব্যারিকেডিংয়ের কাছে এলে পুলিশ তাদের ওপর ফুল বর্ষণ করে। তবে ফুলে রাসায়নিক পাওয়া গেছে বলে চাষিদের অভিযোগ, ফলে অনেক চাষীর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊