নদী বাঁধ না হলে ভোট বয়কটের ডাকে এক হলও দুই গ্রাম

If the river is not dammed, two villages call for a vote boycott

সিতাই:

দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেনি প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। তাই এবার গ্রামবাসীরা একজোট, নদী বাঁধ না হলে ভোট বয়কট। সিতাই বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রাক্কালে নদীবাঁধের দাবিতে ভোট বয়কটের হুমকি দিনহাটা ১ নং ব্লকের গিতালদহ ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দরিবশ ও জারিধরলা গ্রামের বাসিন্দাদের।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তিনদিকে ধরলা নদী ও একদিকে বাংলাদেশ দ্বারা ভারতীয় মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই গ্রাম দুইটি প্রত্যেকবার আক্রান্ত হয় ধরলা নদীর করাল ভাঙনে।

তাদের আরো অভিযোগ, নদীভাঙন বন্ধের জন্য এর আগেও একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিধায়ক, সাংসদ সহ সকলের কাছে আবেদন করলেও মেলেনি বাঁধ। বিনিময়ে মিলেছে প্রত্যেক নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি। আর অপরদিকে প্রত্যেকবছর নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বিঘের পর বিঘে চাষের জমি, বসতবাড়ি, সহ একাধিক সম্বল।

যদিও এই বিষয়ে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ইতিমধ্যেই সেচ দপ্তরের তরফ থেকে এই গ্রামদুইটিকে রক্ষার জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীবাধের ব্যাপারে অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। তবে আনুষাঙ্গিক কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তিনি আরো জানান, যত দ্রুত সম্ভব যাতে কাজ শুরু হয় সেব্যাপারে তিনি খোঁজ নিবেন।

প্রসঙ্গত আগামী ১৩ নভেম্বর সিতাই বিধানসভা উপনির্বাচন। আর তার আগেই দুইটি গ্রামের বাসিন্দাদের এমন হুমকিতে অনেকটাই শোরগোল জেলার রাজনৈতিক মহলে।