ইন্টারনেটের যুগেও বেঁচে প্রাচীন প্রথা 'সহেলা'
বাঁকুড়াঃ-
বর্তমান ইন্টারনেট নির্ভর জীবনে সোশ্যাল মিডিয়াগুলির সৌজন্যে যখন এক ক্লিকেই ‘ফ্রেন্ড’, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে রীতিমতো উৎসব-অনুষ্ঠান করে মা মনসাকে সাক্ষী রেখে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হন অসংখ্য মানুষ। ২০২৪ সালে পৌঁছেও আজও এই প্রাচীণ রীতি এখনো বেঁচে আছে বাঁকুড়া-বর্ধমান সীমানাবর্তী দক্ষিণ দামোদর এলাকায়। আর চলিত এই উৎসবের নাম 'সহেলা'।
এই সহেলা পালনের উৎসবে ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে মানুষ বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হন। যা বর্তমান এই অস্থির সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির হতে পারে। দীর্ঘ ১২ বছর পর এমনই 'সহেলা' বা 'সয়লা' পরবে অংশ নিলেন ইন্দাসের শালিকোনা গ্রামের মানুষ। উল্লেখ্য, ‘সয়লা’র অন্যতম অঙ্গ হল ‘গোয়া চালানো’।
গোয়া হলো সয়লার ঝাঁপি। এই ঝাঁপির মধ্যে দই, পঞ্চ শস্য, গোটা হলুদ, সিঁদুর, খই, গোটা সুপারি, পান বাতাসা রাখা থাকে। স্থানীয় চণ্ডি মন্দিরে পুজো দিয়ে এই পরস্পরের বাড়িতে ‘গোয়া চালিয়ে’ স্থানীয়রা নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন। আর এই ‘গোয়া চালানো’র সময় ‘ পরস্পরকে শোলার মালা পরিয়ে, দইয়ের ফোঁটা দিয়ে 'উপরে খই নিচে দই আমি তোমার চিরকালের সই' এই কথা বলে বন্ধুত্বের সূচনা হয়।
এমনকি বিগত বছর গুলিতে তৈরী হওয়া 'বন্ধুত্বে'র পূনঃর্বিকরণের সুযোগ থাকে এই 'সয়লা' উৎসবে বলেই জানা গেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks