এক নতুন ইতিহাস তৈরী করল 'দ্রোহের কার্নিভাল'
গৌতম সাহা, ধর্মতলাঃ
ধর্মতলায় ১০ দফা দাবীতে অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ' জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস' আজ ধর্মতলায় ডাক দিয়েছিল 'দ্রোহের কার্নিভাল' কর্মসূচীর।
আজ বিকাল ৪ টায় ঘটা এই কর্মসূচীর মূল বিষয় ছিল আর জি কর কান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সুবিশাল মানব বন্ধন তৈরী। এদিকে রেড রোডেও একই সঙগে অনুষ্ঠিত হলো পূজা কার্নিভাল। একই দিনে এমন দুটি অনুষ্ঠানের জন্য ধর্মতলায় 'দ্রোহের কার্নিভাল' কে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আজ সকাল থেকেই ধর্মতলা জুড়ে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ সঙগে লোহার বিরাট বিরাট ব্যারিকেড যেগুলি লোহার চেন দিয়ে মজবুত করে বাঁধা ছিল। তাছাড়া ধর্মতলা সহ বেশ কয়েকটি স্থানে বি এন এস ১৬৩ ধারা বলবৎ করা হয়েছিল। ধর্মতলা সহ পার্শ্ববর্তী বেশ জয়েকটি স্থানগুলিতে সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল যে এই কর্মসূচী থেকে অশান্তি ছড়াতে পারে। এছাড়া এই কর্মসূচীর জন্য পূজা কার্নিভালেও সমস্যা হতে পারে। কিন্তু আন্দোলনকারী ডাক্তারবাবু দেবাশীষ হালদার জানিয়েছিলেন যে তারা কোনরুপ অশান্তি ছড়াতে চান না এমনি কি শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ করতে চান এই কর্মসূচী। কিন্তু পুলিশ অনড় ছিলেন তাই তারা অনুমতি দেননি।
কিন্তু নাছোড় মনোভাব সম্পন্ন জুনিয়র ডাক্তারবাবুরা শেষ আশায় ভর করে মহামান্য হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেন দ্রোহের কার্নিভাল কর্মসূচীর জন্য। আজ দুপুর ২ টায় হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি সব শুনে দ্রোহের কর্মসূচী করবার জন্য রায় দেন।
এই খবর শুনে লক্ষ লক্ষ মানুষ কোলকাতা ও আশপাশের জায়গাগুলি থেকে ছুটে আসেন ও কর্মসূচী কে সফল করে তোলেন। এই প্রতিবাদ কর্মসূচীতে মহিলাদের উপস্থিতি লক্ষনীয় বিষয় হয়ে ওঠে।
বলা বহুল্য অরাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে জুনিয়র ডাক্তারদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচী 'দ্রোহের কার্নিভাল' এক নতুন ইতিহাস তৈরী করল যেটা শুধু এ রাজ্যে নয় বরং সমগ্র দেশে বিরল হয়ে থাকবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊