আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে দোতারা হাতে পথে পথে ঘুরছেন শিক্ষক ঈশ্বরচন্দ্র

a man with dotara at village


আর.জি কর কাণ্ডে এখনও উত্তাল সারা রাজ্য! দিকে দিকে বিচার চেয়ে আন্দোলন আর প্রতিবাদ..! এরই মধ্যে সুর, তাল, লয়, ছন্দের মধ্য দিয়ে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রতিবাদ জানালেন এক প্রাক্তন শিক্ষক!

তাঁর একমাত্র সঙ্গী "দোতারা"। সবুজে ঘেরা গ্রাম বাংলা.. সেই গ্রামের পথ দিয়ে হেঁটে চলেছে পথের পথিক লোকশিল্পী ঈশ্বর চন্দ্র। জলপাইগুড়ি অন্তর্গত ধুপগুড়ির বারঘড়িয়ার বাসিন্দা তিনি।

আরজি কর কাণ্ডকে ঘিরে রাজ্য, দেশ-বিদেশে যখন বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে ঠিক তখনই বাংলার মাটির সুরের মধ্য দিয়ে আর.জি.কর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন তিনি। তার নিজস্ব লেখা গানের প্রত্যেক ছত্রে উঠে এসেছে, এ রাজ্যে লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী-এর মত নারীভিত্তিক প্রকল্প থাকলেও এখনও যে রাজ্যে নেই নারী নিরাপত্তা তার তীব্র প্রতিবাদ।

হাতে একটি দোতারা নিয়ে গ্রামবাংলার পথ দিয়ে হেঁটে হেঁটে গান করে বেড়াচ্ছেন এই ব্যক্তি। কখনও রাস্তা দিয়ে হেঁটে কিংবা দোতারা নিয়ে কখনও আবার ধান ক্ষেতে বসে এভাবেই প্রতিবাদী সুর তুলেছেন ঈশ্বরচন্দ্র রায়। প্রতিবাদের জন্য তার প্রয়োজন নেই কোনও লোকবল, প্রয়োজন নেই কোনও প্ল্যাকার্ড বা পতাকা..! এক্কেবারেই নিজের মতো প্রতিবাদের পথে হেঁটে চলেছেন তিনি।

a man with dotara at village


আর জি কর মেডিকেল কলেজের নক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এবং ন্যায় বিচারের দাবিতেই তার সুর। তার স্পষ্ট বার্তা, নারীদের জন্য শুধুই লক্ষীর ভান্ডার রূপশ্রী কিংবা কন্যাশ্রী দিলেই হবে না নারীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। সেদিকে আলোকপাত করতেই তার এই নয়াপন্থা।

পেশায় তিনি প্রাক্তন শিক্ষক হলেও তার অন্য আরও একটি পরিচয় রয়েছে। কিছু বছর আগে বিধানসভা উপ নির্বাচনের ভোটে তিনি বাম প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন। তবে সেই এলাকায় শিক্ষক হিসেবেই তার বেশি প্রভাব রয়েছে। তাই নতুন প্রজন্মকে তার মাটির সুরেই প্রতিবাদ শিখিয়ে দিচ্ছেন তিনি। আসলেই প্রতিবাদের কোনও ভাষা হয় না, প্রতিবাদের নেই কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম...খানিক ভিন্ন পথে হলেও এভাবেই ইতিবাচক শিক্ষা দিয়ে চলেছেন সমাজকে।