Digvijay Diwas 2024: আজ দিগ্বিজয় দিবস, কেন জানেন?
১১ সেপ্টেম্বর দিগ্বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি ভারতের সোনালী ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দিগ্বিজয় দিবস স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে যুক্ত।
দিগ্বিজয় দিবস স্বামী বিবেকানন্দের বিশ্বজয়ী যাত্রা এবং তাঁর অনন্য অবদানের স্মরণে পালিত হয়। এই দিনটি মূলত 11 সেপ্টেম্বর 1893 সালে শিকাগোতে বিশ্ব ধর্ম কংগ্রেসে স্বামী বিবেকানন্দের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে স্মরণ করার জন্য পালিত হয়। এই ভাষণ বিশ্ব মঞ্চে ভারতের মহান সংস্কৃতি এবং হিন্দু ধর্মের উদারতাকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই বছর দিগ্বিজয় দিবসের 131তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।দিগ্বিজয় দিবসের মূল উদ্দেশ্য স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা ও চিন্তাকে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া এবং তাঁর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখা। এই দিনটি ভারতীয় সংস্কৃতি, যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং বিশ্ব শান্তির ধারণাগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পালিত হয়।
শিকাগোতে ধর্মসভায় স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতা ছিল ধর্ম, দেশ, আদর্শ ও রাজনীতির সীমানার বাইরে, কারণ তা ছিল সবার জন্য, এককথায় সর্বজনীন। যাইহোক, এটি কেবল স্বামী বিবেকানন্দের জাদুকরী বাণী ছিল না; এই চরিত্র, নিঃস্বার্থ তপস্বী জীবন এবং বছরের পর বছর তপস্যাই ভারত সম্পর্কে বিশ্বের ধারণা বদলে দিয়েছে।
শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে ১৩১ বছর আগে আজকের দিনেই উদাত্ত কন্ঠে স্বামী বিবেকানন্দ শুরু করেছিলেন- "আমার আমেরিকা বাসি ভাই ও বোনেরা' সম্বোধন দিয়ে। আর সাথে সাথে করতালিতে ভেসে ওঠে ধর্ম সভা। এভাবেই সবার হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন তিনি।
এই মঞ্চেই স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন- ''আমি গর্বিত যে আমি এমন একটি ধর্মের অন্তর্ভুক্ত যা বিশ্বকে সহনশীলতা এবং সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা শেখায় এবং আমরা সকল ধর্মকে গ্রহণ করি। বিভিন্ন স্থান থেকে উৎপন্ন নদী যেমন বিভিন্ন পথে সাগরের সাথে মিলিত হয়, তেমনি মানুষও তার ইচ্ছানুযায়ী বিভিন্ন পথ বেছে নেয়। এই পথগুলো হয়তো ভিন্ন মনে হতে পারে কিন্তু এগুলো সবই ঈশ্বরের দিকে নিয়ে যায়।”
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊